তেনজিংয়ের শহরে মেঘ নিয়ে চিন্তিত পরিবেশকর্মীদের একাংশ। মেঘের চরিত্র কি বদলাচ্ছে? আর তার জেরে কি বদলে যাচ্ছে চেনা দার্জিলিঙের আবহাওয়া?
এ বার সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে জড়ো হচ্ছেন দেশ-বিদেশের তাবড় বিজ্ঞানীরা। আজ, মঙ্গলবার দার্জিলিঙের বসু বিজ্ঞান মন্দিরে শুরু হচ্ছে জলবায়ু বদল নিয়ে এক আলোচনাচক্র। দার্জিলিঙের হাওয়ায় ভাসমান কণা এবং মেঘ সৃষ্টির উপরেই তার ভূমিকা, এটাই থাকবে মূল বিষয়। বসু বিজ্ঞান মন্দিরের বিজ্ঞানী অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের মতে, মেঘ তো তৈরি হচ্ছে। কিন্তু তা থেকে বৃষ্টি হবে কি না, সেটাও বোঝা দরকার।
দার্জিলিঙের মেঘের চরিত্র কী ভাবে বদলে যাচ্ছে, তা মালুম হয়েছে সোমবার দুপুরেই। কার্শিয়াং পেরোতেই আচমকা নীচ থেকে যেন ভেসে উঠেছিল কালো মেঘ। বৃষ্টি হয়নি, কিন্তু গোটা দার্জিলিং পাহাড়কে যেন ধোঁয়াশার আলখাল্লায় ঢেকে দিয়েছিল সেই মেঘ। গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে বসে কয়েক মিটার দূরত্বও দেখা যাচ্ছিল না।
আবহবিজ্ঞানীরা বলছেন, দার্জিলিঙের তাপমাত্রা বাড়লেই এখানে বায়ুর চাপ কমে যায়। ফলে নীচ থেকে হাওয়া সেখানে শূন্যস্থান পূরণ করতে চলে আসে। সেই হাওয়ার সঙ্গে মিশে আসে নানা ধরনের কঠিন ও গ্যাসীয় কণাও (এরোসল)। সেই সব দূষিত কণাই এমন ধোঁয়াশা তৈরি করছে। পরিবেশকর্মীদের অভিযোগ, শিলিগুড়ি ও লাগোয়া এলাকার দূষণই এর কারণে দায়ী। কিন্তু বসু বিজ্ঞান মন্দিরের প্রাক্তন অধিকর্তা এবং এই অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান শিবাজী রাহা বলছেন, এই দূষণের অনেকটা মানুষের তৈরি করা। দার্জিলিঙের জনবসতি, অরণ্যের চেহারা যে ভাবে বদলেছে তার প্রভাব জলবায়ুতে পড়ছে কি না, সেটাও দেখা প্রয়োজন,’’ বলছেন শিবাজী রাহা। আবহবিজ্ঞানীরা বলছেন, দার্জিলিঙের অবস্থান এমনই যে এই জায়গায় জলবায়ুর নিয়ন্ত্রকগুলি অবস্থান করে। ফলে এই এলাকার জলবায়ু বদলে গেলে তার প্রভাব বাকি দেশের উপরেও পড়বে।