শ্রীজাতর জন্য মালদহে অতিরিক্ত সতর্কতা। —ফাইল চিত্র
আজ, বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে ৩০তম মালদহ জেলা বইমেলা। উদ্বোধন করছেন কবি শ্রীজাত। কিন্তু শিলচরের ঘটনার পর তাঁকে ঘিরে যাতে নতুন কোনও গন্ডগোল না হয়, তা নিশ্চিত করতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকছে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা। জেলা পুলিশের পাশাপাশি র্যাফ এবং কমব্যাট ফোর্সও মোতায়েন করা হবে। মঙ্গলবার সন্ধেয় মালদহে এসে পৌঁছেছেন শ্রীজাত। রীতিমতো পুলিশি ঘেরাটোপে তাঁকে স্টেশন থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়।
এবার মালদহ কলেজ মাঠের পরিবর্তে বইমেলা বসছে সদরঘাট এলাকায় মহানন্দা নদীর চরে। আনুষ্ঠানিক ভাবে আজ বইমেলা শুরুর আগে দুপুরে ইংরেজবাজার শহর জুড়ে বিশাল পদযাত্রা কর্মসূচি রয়েছে। সেই পদযাত্রায় বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক থেকে শুরু করে বই-অনুরাগী মানুষও অংশ নেবেন। বইমেলা কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ-সহ অন্তত ১৭০টি প্রকাশনা সংস্থা তাঁদের বইয়ের সম্ভার নিয়ে এসেছে। এ ছাড়া, বিভিন্ন সরকারি ও অন্য স্টলও থাকছে অন্তত ৫০টি। বইমেলার অন্দরসজ্জার থিম এবারে করা হয়েছে ‘বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি’। বইমেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, ‘‘এবারে একেবারে নতুন জায়গায় যেহেতু বইমেলা হচ্ছে, সেই কারণে বইমেলাকে নানান আঙ্গিকে সাজানো হচ্ছে।’’ পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ জানিয়েছেন, বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কড়া পুলিশি ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। এর বেশি কিছু বলতে চাননি তিনি। তবে সূত্রের খবর, শ্রীজাতকে ঘিরে বইমেলা প্রাঙ্গণে যাতে কোনও অশান্তি না ছড়ায় সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে পুলিশ।
শুরুতে জেলা বইমেলা মালদহ শহরের বৃন্দাবনী মাঠে হত। কিন্তু দিনে দিনে মেলার কলেবর বৃদ্ধি পাওয়ায় সেই মেলা ১৯৯৫ সালে স্থানান্তরিত হয় রথবাড়ি সংলগ্ন মালদহ কলেজ মাঠে। গত ২৪ বছর ধরে সেই মালদহ কলেজ মাঠেই মেলা চলছিল। এ বার মালদহ কলেজের প্ল্যাটিনাম জয়ন্তী বর্ষে সেই মাঠে উত্সব চলবে। সে কারণে বইমেলা সরানো হয়েছে ইংরেজবাজারেরই সদরঘাট এলাকায় মহানন্দা নদীর চরে। একেবারে নতুন এলাকায় ও নদীর পাড়ে বইমেলার আয়োজন হওয়ায় এবারে বইমেলাকে সার্থক করতে নানা ব্যবস্থা নিয়েছে বইমেলা কমিটি।
কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, মেলা চলবে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy