Advertisement
০২ মে ২০২৪

আলিপুরদুয়ারের মাঠ বাঁচাতে উদ্যোগী প্রবীণরা

আলিপুরদুয়ার শহরের প্রাণ কেন্দ্র প্যারেড গ্রাউন্ডের সবুজ রক্ষায় কমিটি গড়লেন প্রবীন নাগরিকেরা। রবিবার সকালে প্যারেড গ্রাউন্ড এলাকায় বৈঠক করেন শহরের প্রবীণ নাগরিক-সহ বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা। অভিযোগ, মাঠটির রক্ষণাবেক্ষণের কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন। ওই মাঠে ডুয়ার্স উত্‌সবের পাশাপাশি নানা অনুষ্ঠান করা হলেও মাঠটির সবুজ রক্ষায় যথাযথ নজর দেওয়া হচ্ছে না।

রক্ষণাবেক্ষণ এবং সৌন্দর্যায়নের অভাবে এ ভাবেই পড়ে রয়েছে প্যারেড গ্রাউন্ড। ছবি: নারায়ণ দে।

রক্ষণাবেক্ষণ এবং সৌন্দর্যায়নের অভাবে এ ভাবেই পড়ে রয়েছে প্যারেড গ্রাউন্ড। ছবি: নারায়ণ দে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৫ ০২:২৯
Share: Save:

আলিপুরদুয়ার শহরের প্রাণ কেন্দ্র প্যারেড গ্রাউন্ডের সবুজ রক্ষায় কমিটি গড়লেন প্রবীন নাগরিকেরা। রবিবার সকালে প্যারেড গ্রাউন্ড এলাকায় বৈঠক করেন শহরের প্রবীণ নাগরিক-সহ বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা। অভিযোগ, মাঠটির রক্ষণাবেক্ষণের কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন। ওই মাঠে ডুয়ার্স উত্‌সবের পাশাপাশি নানা অনুষ্ঠান করা হলেও মাঠটির সবুজ রক্ষায় যথাযথ নজর দেওয়া হচ্ছে না। বৈঠকের পর আলিপুরদুয়ার থানায় গিয়ে মাঠে অসামাজিক কাজ কর্ম নিয়ে প্রতিবাদ জানান সদস্যরা।

প্যরেড গ্রাউন্ডের সৌন্দর্যায়নের বিষয়ে আলিপুরদুয়ার পুরসভার চেয়ারম্যান বাবলু দত্তকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “প্যারেড গ্রাউন্ডকে ঘিরে উন্নয়নের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। মাঠের চারধারে আরও আলো লাগানো, ফুটপাথ সংস্কার ও পার্ক বানানোর পরিকল্পনা জেলাশাসকের দফতরের মাধ্যমে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরে পাঠানো হয়েছে।”

আলিপুরদুয়ার অভিভাবক মঞ্চের সম্পাদক ল্যারি বসু জানান, কয়েক একর জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ড। শহরের সবচেয়ে বড় সবুজ মাঠ এটি। প্রতি বছর নানা ধরনের অনুষ্ঠান ছাড়াও খেলা হয় এখানে। তবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পর মাঠে তৈরি হওয়া গর্ত ভরাট থেকে শুরু করে আবর্জনা পরিষ্কারে গড়িমসি করে আয়োজক কমিটিগুলি। তিনি বলেন, “আলিপুরদুয়ার জেলা ঘোষণা হলেও এই মাঠটিকে ঘিরে সৌর্ন্দযায়নের কোনও প্রকল্প নেয়নি প্রশাসন। বিষয়টি নিয়ে এ দিন শহরের বিভিন্ন সংগঠন বৈঠক করে। ‘প্যারেড গ্রাউন্ড রক্ষা কমিটি’ গঠন করা হয়।”

আলিপুরদুয়ার প্রবীণ নাগারিক সংস্থার তরফে বনবিহারী দত্ত বলেন, “প্যারেডগ্রাউন্ডে সন্ধ্যা নামলেই শুরু হয় অসামাজিক কাজ কর্ম। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।” মানবিক মুখের সম্পাদক রাতুল বিশ্বাস বলেন, “সন্ধ্যা নামলেই রীতি মতো মদ্যপদের দখলে চলে যায় মাঠটি। সাইকেলে করে অনেক যুবক সেখানে ঘুরে ঘুরে মদ বিক্রি করে। চলে নানা ধরনের মাদক সেবন।”

প্রবীণ নাগরিকদের অভিযোগ, ২০০৮ সালে মাঠটির সৌন্দর্যায়নের জন্য আলিপুরদুয়ারের সাংসদ তহবিলের ৩৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হলেও শুধু বাতি স্তম্ভ বসানো হয়েছে। তার পর আর কোনও কাজ হয়নি। সেই বাতি স্তম্ভে আবার বিদ্যুত্‌ সংযোগ নেই।

তবে দু-তিন বছর আগে মাঠের চার ধারে পুরসভার তরফে উঁচু বাতি স্তম্ভ বসিয়ে আলোর ব্যবস্থা করা হলেও সন্ধ্যা নামলেই মাঠে অসামাজিক কাজ বন্ধ করতে পারেনি পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE