প্রথমবার বসন্ত উৎসবের আবহে মাতছেন কোচবিহারের যৌনপল্লির বাসিন্দারা। আজ, শনিবার কোচবিহারের প্রিয়গঞ্জ কলোনির দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটির দফতর লাগোয়া চত্বরে ওই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। আবৃত্তি, গান থেকে নাচ— নানা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সাজানো হয়েছে অনুষ্ঠান সূচি। রয়েছে একে অন্যকে রাঙিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনাও। শুক্রবার চলল অনুষ্ঠানের চূড়ান্ত মহড়া।
উদ্যোক্তারা জানান, ফি বছর যৌনপল্লিতে দুর্গাপুজোর আয়োজন হয়। উৎসবের আনন্দে মাতেন বাসিন্দারা। কিন্তু রঙের উৎসব দোলকে কেন্দ্র করে সেভাবে বসন্ত উৎসবের আয়োজন আগে হয়নি। বরং দোলের দিনেও যৌনকর্মীদের অনেকে গোলমালের ভয়ে নিজেদের একটু গুটিয়ে রাখতেন। এ বার স্থানীয় কয়েকজন যুবকের উৎসাহে বসন্ত উৎসবের ভাবনাচিন্তা শুরু হয়। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে পাশে দাঁড়ান কোচবিহারের কয়েকজন শুভানুধ্যায়ীও।
এলাকার উৎসাহীদের অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি করে দেওয়ার দায়িত্ব নেন তরুণ সংগীতশিল্পী অর্ক মহলানবিশ। শুরু হয় মহড়া। প্রায় এক সপ্তাহে এলাকার উৎসাহী কচিকাঁচাদের প্রশিক্ষণ দেন তিনি। যা দেখে উৎসাহিত যৌনকর্মীদের একাংশও নিজেদের মত করে সাংস্কৃতিক দক্ষতা দেখাতে আগ্রহ দেখান। দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটির সদস্য বিজলি ঘোষ বলেন, “এমন আয়োজন আগে হয়নি।” কমিটির প্রাক্তন সম্পাদক ছানু ঘোষ বলেন, “উৎসব দেখতে মুখিয়ে রয়েছি।”
খুশি মহল্লার শিশু কিশোররাও। স্কুল থেকে ফিরেই গানের রেওয়াজ যাদের গত কয়েকদিনের রুটিন। তাদের কয়েকজনের কথায়, টিভিতে বসন্ত উৎসব দেখেছি। এ বার আমরাও তাতে সামিল হব ভাবিনি। যাঁর প্রচেষ্টা এমন আয়োজনের নেপথ্যে সেই অর্কবাবু বলেন, “সবাই যাতে দোলের আনন্দ ভাগ করে নেয় ভাবনা থেকেই মহড়া দিতে নামি।” অনেকে রবিবার ব্যস্ত থাকবেন বলেই শনিবার উৎসব করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy