চকোলেট-এগরোলের লোভ দেখিয়ে বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন পাশের বাড়ির ‘জেঠু’। বদলে প্রতিবেশী দুই নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠল ওই প্রৌঢ়র বিরুদ্ধে। শনিবার দুপুরে রায়গঞ্জের বীরনগরে তাঁকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেন বাসিন্দারা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম রাজকুমার সাহা। রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের পুলিশ লকআপে রেখে তার চিকিত্সা শুরু হয়েছে।
ঘটনার পর এক বালিকার মা রায়গঞ্জ মহিলা থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ধৃতের বিরুদ্ধে শিশুদের যৌন নির্যাতন সুরক্ষা আইনে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করেছে। এ দিনই জেলা হাসপাতালে দুই বালিকার ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়েছে পুলিশ। রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত আইসি দীপেন তামাঙ্গ বলেন, ‘‘ধৃত সুস্থ হলে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।’’
পুলিশ সূত্রের খবর, ৯ ও ১১ বছর বয়সী ওই দুই বালিকা বীরনগর এলাকার একটি প্রাথমিক স্কুলের চতুর্থ শ্রেণি ও রায়গঞ্জের একটি নামী গার্লস হাইস্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। ৬২ বছর বয়সী রাজকুমার নিজের বাড়িতেই বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার আর্থিক হিসাবরক্ষণের কাজ করে। তার স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে। প্রতিবেশী হওয়ার সুবাদে রাজকুমার ওই দুই বালিকাকে মাঝেমধ্যেই মুখরোচক খাবার খাওয়াত।
দুই নাবালিকার মায়ের অভিযোগ, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রাজকুমার এগরোল খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে নিজের বাড়ির ছাদে তাদের নিয়ে গিয়ে দীর্ঘ ক্ষণ যৌন নির্যাতন চালায়। ঘটনার কথা কাউকে জানালে তাদের মারধর করারও ভয় দেখায় সে। সেই ভয়েই তারা এত দিন পরিবারের লোকেদের বিষয়টি জানায়নি বলে দাবি করেছে।
এ দিন দুই বালিকা বাড়ির সামনে দাঁড়িয়েছিল। সেই সময় রাজকুমার ফের তাদের জোর করে নিজের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। দুই বালিকা ভয়ে চিত্কার চেঁচামেচি শুরু করলে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। তখনই তারা পরিবারের লোকেদের সমস্ত বিষয় জানিয়ে দেয়। জানাজানি হওয়ার পর এলাকার বাসিন্দারা রাজকুমারের বাড়িতে গিয়ে তাকে বাইরে বের করে বেধড়ক মারধর করে পুলিশে খবর দেন। মারে তার ডান চোখ, মুখ, নাক-সহ শরীরের নানা জায়গায় চোট লেগেছে। রাজকুমারের অবশ্য দাবি, সে ওই দুই বালিকাকে ভাইজির মতোই দেখত বলে মাঝেমধ্যে আদর করত। বাসিন্দারা ভুল বুঝে তাকে বিনাদোষে ফাঁসিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy