বিধ্বস্ত সিকিম। —ফাইল চিত্র।
কেউ পুজোর আগাম ‘বুকিং’ বাতিল করছেন। কেউ চাইছেন ‘বুকিং’ পিছিয়ে দিতে। সিকিমের বিপর্যয়ের পরে এমনই নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে পর্যটন ব্যবসায়ী এবং ভ্রমণ সংস্থাকে। সমস্যার এই আঁচ থেকে বাদ যাচ্ছে না উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমও। পুজোয় নিগমের বিশেষ আকর্ষণ উত্তরবঙ্গের তরাই-ডুয়ার্সের জঙ্গল থেকে পাহাড়ে বিভিন্ন স্থানে পর্যটকদের পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্প ‘সবুজের পথে হাতছানি’। এই প্রকল্পে লাভের আশায় এ বার পাহাড়ের দার্জিলিং, মিরিক, লাভার সঙ্গে সিকিমের কয়েকটি জায়গাও তালিকায় রাখা হয়েছে। নিগম সূত্রে খবর, সেই এলাকাগুলিতে অগ্রিম ‘বুকিং’ ভালই হয়েছে। কিন্তু ভয়াবহ বিপর্যয়ে ‘সবুজের পথে হাতছানি’ থেকে সিকিমের বাদ পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
পুজোয় কয়েক দিনের জন্য থাকা-খাওয়া এবং বিনোদনের ব্যবস্থায় ‘সবুজের পথে হাতছানি’ প্রকল্পে এ বার সিকিমের কয়েকটি জায়গায় ভ্রমণের জন্য কয়েক লক্ষ টাকার ‘বুকিং’ হয়েছে বলে নিগম সূত্রে খবর। তবে সিকিমে বিপর্যয়ের পরে সেই সব ‘বুকিং’ বাতিলের পথে। নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর দীপঙ্কর পিপলাইয়ের বক্তব্য, পরিস্থিতির কারণে শুধু সিকিম নয়, তার কাছাকাছি এলাকার ‘বুকিং’ নিয়েও অনিশ্চিয়তা তৈরি হচ্ছে। তিনি জানান, তাঁরা যে ‘এজেন্সি’র সঙ্গে পুজো-ভ্রমণের চুক্তি করছেন, তাতে অনেকেই ‘বুকিং’ পিছিয়ে ডিসেম্বর মাসে করার কথা জানাচ্ছেন। অনেকে আবার সিকিমের পরিস্থিতির উপর নজর রেখে পরে ‘বুকিং’ করার কথা জানাচ্ছেন। নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বলেন, ‘‘সিকিমের বিপর্যয়ের কারণে পর্যটন ব্যবসায় ক্ষতি হতে পারে এবং নিগমের পুজোর আয় কমতে পারে।’’ নিগমের দু’টি বাস প্রত্যেক দিন শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটক যাতায়াত করে। শুক্রবার সিকিম রাজ্য পরিবহণ দফতরের বাসগুলি শিলিগুড়ির টার্মিনাস থেকে ঘুরপথে যাতায়াতের অনুমতি পেলেও উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের বাসগুলি পায়নি বলে দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy