E-Paper

নতুন ঠিকানা পাবে কলেজ

শিলিগুড়ি কলেজ ক্যাম্পাসেই এখন বিকেলে কমার্স কলেজ চলে। সরকারি নির্দেশ মেনে ১৯৭১ সাল থেকে শিলিগুড়ি কলেজের পরিকাঠামোই ব্যবহার করে ওই কলেজ।

সৌমিত্র কুন্ডু

শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৯:৫৯
শিলিগুড়ি কলেজ অব কমর্সের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন।

শিলিগুড়ি কলেজ অব কমর্সের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন। নিজস্ব চিত্র।

একই ক্যাম্পাসে দু’টি কলেজ ঘিরে না বিষয়ে দুইপক্ষের টানাপড়েন চলেই। সেই দু’টি কলেজ হল শিলিগুড়ি কলেজ এবং শিলিগুড়ি বাণিজ্য মহাবিদ্যালয় (শিলিগুড়ি কলেজ অব কমার্স)। নিজস্ব ভবন না থাকায় কিছু করার ‘ইচ্ছা থাকলেও উপায় হয় না’ শিলিগুড়ি কমার্স কলেজের। বৃহস্পতিবার কাওয়াখালিতে তাদের নতুন ভবনের শিলান্যাসের সঙ্গে সেই ‘বিভ্রাট’ মিটতে চলেছে। ১০ মাসের মধ্যে প্রথম দফায় ভবনের নির্মাণকাজ শেষ করার কথা শিলিগুড়ি পুরসভার।

শিলিগুড়ি কলেজ ক্যাম্পাসেই এখন বিকেলে কমার্স কলেজ চলে। সরকারি নির্দেশ মেনে ১৯৭১ সাল থেকে শিলিগুড়ি কলেজের পরিকাঠামোই ব্যবহার করে ওই কলেজ। তাই সব ক্ষেত্রেই তাদের নির্ভর করতে হয় শিলিগুড়ি কলেজের উপরেই। নিজস্ব ভবন না থাকায় নিজেদের ইচ্ছামতো কিছু করতেও পারে না তারা। বিবিএ পাঠ্যক্রম চালাতে হয় ঘর ভাড়া নিয়ে। প্রথম দফায় নির্মাণকাজের পাঁচ কোটি টাকা কলেজের তহবিল খরচ করছে। এ দিন শিলান্যাস করেন মেয়র গৌতম দেব। তিনি বলেন, ‘‘পুরো নির্মাণকাজ (ছয় তলা ভবন) করতে আরও অর্থ দরকার। পুরো টাকা জোগাড় করে কাজ শুরু করতে গেলে অনেক দেরি হবে। তাই যে টাকা রয়েছে তা দিয়েই কাজ করতে বলা হয়। প্রথম দফায় একটি অ্যাকাডেমিক ভবন তৈরির কাজ পুরসভা করবে।’’ পুরসভা সূত্রে খবর, সীমানা পাঁচিল, গেটও হবে।

কমার্স কলেজের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি কলেজের পরিকাঠামো ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা হয়েই থাকে। বিশেষ করে দু’টি কলেজের পরীক্ষা একই সঙ্গে হলে। তখন শ্রেণিকক্ষ পর্যাপ্ত মেলে না। আবার অনেক সময় শিলিগুড়ি কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁদের শৌচালয়, ক্যান্টিন বন্ধ করে চলে গেলে সমস্যায় পড়তে হয়। ফোন করে তা খোলাতে হয়। তবে শিলিগুড়ি কলেজ পরিচালন সমিতির তরফে সে ক্ষেত্রে সব সময় সহায়তারও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

নতুন ভবন হলে কি কমার্স কলেজ কর্তৃপক্ষ শিলিগুড়ি কলেজ ক্যাম্পাস ছেড়ে দেবেন?

শিলিগুড়ি কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ রঞ্জন সরকারের কথায়, ‘‘এখনও তা নিয়ে ভাবা হয়নি। বিষয়টি পরিচালন সমিতিতে আলোচনা করেই ঠিক হবে।’’ তবে পরিচালন সমিতির সভাপতি অরুণ ঘোষের জানান, শহরে ওই ক্যাম্পাস ছেড়ে দেওয়ার বিষয় নেই। তিনি বলেন, ‘‘কলকাতায় বহু কলেজ ভবনে সময় বদলে দু’টি, তিনটি কলেজ চলে। সরকারি নির্দেশ মেনেই শিলিগুড়ি কলেজ ক্যাম্পাস দুই পক্ষের তরফে ব্যবহার করা হয়। সে কারণে শহরের ওই ক্যাম্পাসও থাকবে।’’

শিলিগুড়ি কলেজ পরিচালন সমিতিও এখন তা নিয়ে ভাবছেন না। তবে পরবর্তীতে বিকেলের পরে দ্বিতীয় ধাপে তারাও বিভিন্ন কোর্স চালুর পরিকল্পনা করতে পারেন বলে জানানো হয়েছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy