কলকাতা বিমানবন্দরে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের তুমুল উদ্দীপনা মুকুল রায়কে ঘিরে। ফাইল ছবি।
এক সময়ে ‘দাদা’র আশীর্বাদই তাঁদের ‘দাদা’ বানিয়েছে। তাই দাদার ডাক ফেরাতে পারলেন না অনেকেই। নিজেরা না গেলেও কলকাতার ট্রেন-বাসে উঠিয়ে দিলেন প্রতিনিধিদের।
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে আজ, শুক্রবার কলকাতায় প্রথম সভা মুকুল রায়ের। প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মুকুলবাবুর কাছে এই সভা রীতিমতো ‘মর্যাদা’র প্রশ্ন। মুকুল অনুগামীদের একাংশের দাবি, আজকের সভা প্রকৃত পক্ষেই ‘দাদার পরীক্ষা’। সেই পরীক্ষা পাশ করতেই ডাক পড়েছে দাদার পুরনো অনুগামীদের। একজনের কথায়, ‘‘দলের কর্মীদের কাছে আমিও যে দাদা ডাক শুনতে পাই তা তো দাদা-র(মুকল রায়) দয়াতেই।’’ তাই নিজে না গেলেও কলকাতায় পাঠিয়েছেন প্রতিনিধিদের।
বিজেপির জলপাইগুড়ির যুব নেতা শ্যাম প্রসাদের কথায়, ‘‘বিজেপি কর্মী বা সমর্থক বলে পরিচিত নন এমন অনেকেই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। বিভিন্ন ট্রেনে তাঁদের পাঠানো হয়েছে।’’
তৃণমূল কর্মীদের দাবি, দলের অনেক মাঝারি মাপের এমন কী প্রথমসারির নেতারাও এখন জল মাপছেন। যাঁরা কোনঠাসা, তাঁরাও আগামী পঞ্চায়েত ভোটের আগে নিজেদের শাসক দলের থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চাইছে না। আবার মুকুলবাবুর দরজা বন্ধ হয়ে যাক এমনও চাইছেন না। সে কারণেই এ দিন কেউ উত্তরবঙ্গের বাইরে পা রাখেননি। কিন্তু নিজেদের ‘লোক’ পাঠিয়ে দিয়েছেন।
ধূপগুড়ি পুরভোটে জয়ী এক তৃণমূল কাউন্সিলর নিজের এলাকা ছাড়াও বানারহাট, চামুর্চি, ফালাকাটার ‘বসে’ যাওয়া তৃণমূল কর্মীদের কলকাতায় যাওয়ার টিকিটের খরচ জুগিয়েছেন বলে খবর। প্রতিনিধি পাঠানোর তালিকায় রয়েছেন উত্তরবঙ্গের একটি জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রভাবশালী এক নেতাও। মুকুলবাবুর বিজেপি প্রবেশের দিন দলের ভিড়ে ঠাসা জেলা অফিসে বসে ওই নেতা মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘মুকুল-দা’ চলে যাওয়ার ফল দলকে ভুগতে হবে।’’ তিনটি মহকুমা থেকে অন্তত দু’শোজনকে তিনি পদাতিক এবং দার্জিলিং মেলে গত বুধবার কলকাতায় রওনা করিয়েছেন। জলপাইগুড়ি জেলার প্রবীণ তৃণমূল নেতা কৃষ্ণকুমার কল্যাণী সম্প্রতি প্রকাশ্যেই বর্তমান জেলা নেতাদের দোষারোপ করেন। তার পরেই দলে জল্পনা শুরু হয় কৃষ্ণবাবুকে নিয়ে। যদিও, এ দিন কৃষ্ণবাবু সাফ বলেন, ‘‘যাঁর হাত দিয়ে দলে বেনোজল ঢুকেছিল তাঁর ডাকে সাড়া দেওয়ার মানে নেই।’’
বৃহস্পতিবার তিস্তা-তোর্সা, কামরূপ, পদাতিকে রওনা দিয়েছেন মুকুল অনুগামীরা।আজ শুক্রবার এরা সকলেই রানী রাসমনি রোডের সভায় যোগ দেবেন, কোনও না কোনও ‘দাদা’র প্রতিনিধি হয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy