মাঝ রাতে রাস্তায় ভূতের দল। নিজস্ব চিত্র
তখন দুপুর রাত। ঠিক সেই সময়েই পথে দেখা গেল এক দল তেনাদের। এক রাস্তা থেকে আর এক রাস্তা দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তাঁরা। কেউ নাচছেন। কেউ গাইছেন। ‘জোম্বি’দের নিয়ে তৈরি হওয়া হলিউডি ছায়াছবির কিছু দৃশ্য যেন উঠে এসেছে বাস্তবের মাটিতে। তার সাক্ষী হয়ে রইলেন উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের বাসিন্দারা।
জনগণের মধ্যে কোভিড সচেতনতা বাড়াতে এক দল তরুণ-তরুণী সেজেছেন ভূত। শনিবার রাতে রায়গঞ্জের লিচুতলা থেকে ফোয়ারা মোড় হয়ে বিদ্রোহী মোড় পর্যন্ত ঘুরে বেড়িয়ে পথচারী, বাইক আরোহীদের করোনা সচেতনতার পাঠ দিল সেই জ্যান্ত ভূতের দলই। সকলকেই জানিয়ে দিলেন, সময় থাকতে সচেতন না হলে পরিণতি ভয়ঙ্কর হতে পারে। ‘ভূত’-দের ওই দলে ছিলেন রায়গঞ্জের যুবক বিশ্বায়ন দে। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা নিজেকে মনে করছি, করোনায় মারা গিয়েছি। আমরা অতৃপ্ত আত্মা। করোনা বিধি পালন না করলে আপনাদেরও এই অবস্থা হতে পারে। এই বার্তাই ভূত সেজে সকলকে দিচ্ছি। যাতে সকলে সচেতনতার বিষয়টি মাথায় রাখেন।’’
ওই দলে ছিলেন সায়শ্রী ভৌমিক নামে এক তরুণীও। তিনি তুলে ধরলেন রায়গঞ্জের এই প্রথার ইতিহাস। সায়শ্রী জানালেন, রায়গঞ্জে এই প্রথার প্রচলন করেন সঙ্গীতশিল্পী মহুয়া ঘোষ। তাঁর নেতৃত্বে কিছু তরুণ-তরুণী হ্যালোউইন দিবস পালন করা শুরু করেন। সম্প্রতি মারা গিয়েছেন মহুয়া। কিন্তু এই প্রথার মধ্যে দিয়ে শনিবার রাতে তাঁকে স্মরণও করা হয়।
মাঝরাতে মাঝরাস্তায় এমন ভূতের খপ্পরে পড়েছিলেন পার্থ বসাক নামে রায়গঞ্জের এক বাসিন্দা। খুশির সুরেই তিনি বলছেন, ‘‘কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে ওঁরা সচেতন করছেন। এটা বেশ অভিনব ব্যাপার। আমার ভাল লেগেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy