সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে এক কিশোরীকে নিয়ে চম্পট দিল এক ব্যক্তি। সেই সূত্রে এবং কিশোরীর পরিবারের পরিবারের আর এক সদস্যকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে ৯ লক্ষ টাকা হাতানোরও অভিযোগ উঠেছে। গত তিন সপ্তাহ ধরে কোচবিহারের দিনহাটা থানার গোসানিমারির ওই নিখোঁজ কিশোরীকে পাচার করে দেওয়া হয়েছে কি না সে ব্যপারে খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
কাজের সূত্রে গোসানিমারির চৌকিয়ারপাড়া এলাকার বাসিন্দা যাদব দাস এবং তাঁর ভাই পরিতোষবাবু গুয়াহাটিতে থাকতেন। বছর খানেক আগে সেখানেই অঞ্জনকুমার গুপ্তা নামে এক ব্যক্তির পরিচয় হয়।
ওই ব্যক্তি নিজেকে কেন্দ্রীয় সরকারের আধিকারিক বলে পরিচয় দেয়। পরিতোষবাবুকে অ্যান্টি কোরাপশন ব্যুরো’তে চতুর্থ শ্রেণির পদে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখায় সে। দফায় দফায় গোসানিমারিতে পরিতোষবাবুর বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সখ্যও গড়ে তোলে। দিন কয়েক পরে ডাকের মাধ্যমে তাঁদের বাড়িতে চাকরির নিয়োগপত্র পাঠানো হয়। গুয়াহাটিতে নিয়ে একটি হোটেলে রেখে তাঁদের নানা রকম প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। এর পর থেকে তাঁদের কাজে যোগ দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে বলা হয়।
ইতিমধ্যেই যাদববাবুর মেয়েকে সিনেমায় অভিনেত্রী হিসেবে সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ওই ব্যক্তি। তাঁকে ‘মুম্বইয়ের ফিল্ম ইন্ড্রাস্ট্রি’র নামে কিছু কাগজপত্র পাঠানো হয়। মাস চারেক আগে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা বলে ওই কিশোরীকে গুয়াহাটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। তিন মাসের মধ্যে তিন বার বাড়িতেও ঘুরে যান তাঁরা। তার পর গত তিন সপ্তাহ ধরে ওই ব্যক্তির দেওয়া মোবাইল নম্বর সুইচ অফ হয়ে যায়। ওই কিশোরীর মামা সঞ্জীব দাস বলেন, “সব মিলিয়ে কয়েক দফায় ৯ লক্ষ টাকা নিয়েছে ওই ব্যক্তি।”
পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy