Advertisement
E-Paper

Paresh Chandra Adhikary: বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়ের সঙ্গী পরেশ, বিতর্ক

এ বারে পরেশের মেয়ের খসড়া গবেষণাপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

গৌর আচার্য 

শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২২ ০৬:৪৮
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

মেয়েকে নিয়ে বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না পরেশচন্দ্র অধিকারীর। এর আগে এসএসসি-র চাকরিতে মেয়ের নাম তালিকায় হঠাৎ প্রথমে চলে আসা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। এ বারে পরেশের মেয়ের খসড়া গবেষণাপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

পরেশ এখন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করছেন। তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিঞ্জান বিষয়ের উপরে কোচবিহার জেলায় সর্বশিক্ষা অভিযান নিয়ে গবেষণা করছেন। শুক্রবার অঙ্কিতাকে নিয়ে পরেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে গিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। এর পর অঙ্কিতা ওই বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাত জন শিক্ষকের কাছে তাঁর খসড়া গবেষণাপত্র জমা (প্রি-সাবমিশন) দেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা অঙ্কিতার ওই খসড়া গবেষণাপত্র খতিয়ে দেখে সন্তুষ্ট হলে তাঁরা তা অনুমোদন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে অঙ্কিতাকে চূড়ান্ত গবেষণাপত্র জমা দেওয়ার অনুমতি দেওয়ার সুপারিশ করবেন। তার পরেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অঙ্কিতার কাছ থেকে চূড়ান্ত গবেষণাপত্র জমা নেওয়ার কথা। এই পরিস্থিতিতে এ দিন খোদ রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ মেয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজির হওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে, মেয়ের গবেষণাপত্র অনুমোদনের ক্ষেত্রে তিনি পরোক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে প্রভাবিত করছেন না তো?

রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিলীপ দে সরকার বলেন, “পরেশবাবু একজন ছাত্রীর অভিভাবক হলেও তিনি রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। তাই তিনি এদিন মেয়ের খসড়া গবেষণাপত্র জমা দেওয়ার সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজির না থাকলেই ভাল করতেন।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান সুমিতা সিংহের অবশ্য বক্তব্য, “পরেশবাবু একজন অভিভাবক হিসাবে বিভাগে এসে আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। সরকারি নিয়ম মেনেই তাঁর মেয়ের খসড়া গবেষণাপত্র খতিয়ে দেখে পরের প্রক্রিয়া করা হবে।”

পরেশের দাবি, “বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের প্রস্তাব ও সমস্যা জানানোর জন্য দীর্ঘদিন ধরে সেখানকার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা আমাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছিলেন। সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েই এ দিন বিশ্বলিদ্যালয়ে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। মেয়ে মেয়ের কাজে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিল।”

Paresh Chandra Adhikary Raiganj University
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy