চেয়ারপার্সন: অনন্যা চক্রবর্তী। নিজস্ব চিত্র
সিডব্লুউসির বদলে অ্যাডহক কমিটি গড়া ঠিক হয়নি বলে জানিয়ে দিল রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন৷ জলপাইগুড়িতে সিডব্লুউসি-র অ্যাডহক কমিটি গঠন নিয়ে একই মন্তব্য করেছিল জাতীয় শিশু সুরক্ষা আয়োগও। তবে দিন কয়েক আগে শিশু পাচারের তদন্তে জলপাইগুড়িতে এসে জাতীয় শিশু সুরক্ষা আয়োগ জেলা প্রশাসনের ভূমিকার সমালোচনা করলেও রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন কিন্তু এ ব্যাপারে প্রশাসনের প্রশংসাই করল৷
এ দিন বিকেলে জলপাইগুড়িতে পৌঁছন ওয়েস্ট বেঙ্গল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস অর্থাৎ রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী ও সচিব সুপর্ণা দাস৷ চন্দনার বিমলা শিশু গৃহের পাশাপাশি অনুভব হোমেও যান তাঁরা৷ এরই মাঝে সংবাদ মাধ্যমকে চেয়ারপার্সন বলেন, ‘‘এখানে শিশু পাচারের তদন্ত সঠিক পথে এগোচ্ছে৷ প্রশাসনও ভাল কাজ করছে। ভাল কাজ করছে সিআইডিও৷ তাই অনেকেই গ্রেফতার হয়েছে৷’’
কিন্তু দিন কয়েক আগেই জলপাইগুড়িতে এসে জাতীয় শিশু সুরক্ষা আয়োগের সদস্যরা শিশু পাচারের তদন্তে রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের কড়া সমালোচনা করে অভিযোগ করেছিলেন, প্রশাসনের ব্যর্থতা ও আধিকারিকদের আড়াল করতেই গোটা বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে৷ এ প্রসঙ্গে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন বলেন, ‘‘অভিযোগ তো সবাই করতেই পারেন৷ কিন্তু সঠিক তথ্যের ওপরই সব কিছু হয়৷ এর বাইরে আর কিছু বলব না৷’’
তবে অ্যাডহক কমিটি গঠন যে ঠিক হয়নি তা কিন্তু এ দিন স্বীকার করে নেন কমিশনের সদস্যরা৷ এই ব্যাপারে তাঁরা কিছুটা বিরক্তও। চেয়ারপার্সন বলেন, ‘‘অ্যাডহক কমিটি যিনি গঠন করেছেন তিনি ভুল করেছেন৷ হয়তো সদর্থেই সেটা করা হয়েছিল৷ কিন্তু সেটা নিয়মমাফিক হয়নি৷ ভবিষ্যতে যাতে আর এ ধরনের ভুল না হয় সেটা দেখা হচ্ছে৷’’
পাশাপাশি তিনি জানান, এ বার থেকে সিডব্লুউসি-র সদস্যদের প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হবে৷ কারণ অনেক সময়ই না জেনে অনেকে ভুল করে ফেলেন৷ সেটা রুখতেই এই সিদ্ধান্ত৷ এ দিন সার্কিট হাউজে জেলাশাসক রচনা ভগতের সঙ্গেও অল্প সময়ের জন্য বৈঠক করেন তাঁরা৷ শিশু পাচারের তদন্ত কোন পথে এগোচ্ছে জেলাশাসকের থেকে জেনে নেন তাঁরা ৷
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy