প্রতীকী চিত্র
বাড়ির অমতে জামাইবাবুকে বিয়ে করায় যুবতীর মাথার চুল কেটে শাস্তি দেওয়ার অভিযোগ উঠল সৎমা-সহ দু’জনের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের ইংরেজবাজার শহরের কৃষ্ণপল্লি এলাকায়। ঘটনায় অসুস্থ অবস্থায় ওই যুবতী প্রিয়াঙ্কা সিংহ ভর্তি রয়েছেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। ওই দিনই ওই যুবতীর পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত সৎমা বিশাখা করকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইংরেজবাজার শহরের কৃষ্ণপল্লি এলাকার বাপুজি কলোনি বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা। তাঁর বাবা রতন কর পেশায় ব্যবসায়ী। তাঁর দুই স্ত্রী রয়েছেন এবং তাঁরা এক বাড়িতেই থাকেন। তাঁদের তিন ছেলে–মেয়ে রয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ইংরেজবাজারের যদুপুর গ্রামের বাসিন্দা স্বপন সিংহের সঙ্গে বিয়ে হয় রতনবাবুর বড় মেয়ের। তাঁদের দুই ছেলেমেয়ে রয়েছে। অভিযোগ, পারিবারিক কারণে স্বপন প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ করেন। তার পরেই স্বপন বছর খানেক আগে বিয়ে করেন প্রিয়াঙ্কাকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে পারিবারিক বিবাদ হয়। এমনকি, ওই যুবতীর সঙ্গে পরিবারের লোকেরা যোগাযোগ বন্ধ করে দেন বলে দাবি।
পুলিশ জেনেছে, ওই দিন বিকালে ওই যুবতী কৃষ্ণপল্লি এলাকায় ঘুরতে যান। অভিযোগ, সেই সময়ে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে সৎমা বিশাখাদেবী ও বাবা রতনবাবু তাঁকে বাড়িতে ডাকেন। তার পরেই কাঁচি দিয়ে তাঁর চুলের একাংশ কেটে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে হইচই পড়ে যায় এলাকা জুড়ে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই যুবতীকে উদ্ধার করে। মানসিক ভাবে ওই যুবতী ভেঙে পড়ায় তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় সৎ মা বিশাখাদেবীকেও। তবে আর এক অভিযুক্ত রতনবাবু অবশ্য এখনও ফেরার বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘‘বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার পরই আমি বিয়ে করেছি। আমার সৎমা বিয়েতে রাজি ছিল না। তাই বিয়ের পর থেকে আমাকে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হত না। এ দিন টাকা দেওয়ার নাম করে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। তার পরেই আমার মাথার চুলের একাংশ কেটে দেওয়া হয়। আমরা থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।’’
ধৃত বিশাখাদেবী বলেন, ‘‘আমার স্বামীর দ্বিতীয় পক্ষের সন্তান প্রিয়াঙ্কা। দিদির বিবাহবিচ্ছেদের পরে জামাইবাবুর সঙ্গে বিয়ে করে সে। আমরা ওই বিয়েতে রাজি ছিলাম না। তাই এখন মিথ্যে অপবাদ দিয়ে আমাদের ফাঁসানো হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy