সোনাউল্লা স্কুলের সম্পত্তি ভেঙে পুজো মণ্ডপ তৈরি করার ঘটনায় অভিযুক্ত ক্লাবের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা জানতে রাজ্য শিক্ষা দফতরের পরামর্শ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল জলপাইগুড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ৷
ঘটনাটি নিয়ে এদিন সোনাউল্লা স্কুলের প্রাথমিক বিভাগের প্রধান শিক্ষক সংসদে তার রিপোর্ট জমা দিয়েছেন৷ সংসদের কর্তারা জানিয়েছেন, এ বার তাঁরা গোটা বিষয়টি রাজ্য শিক্ষা দফতরে জানাবেন৷ ক্লাবের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় সে ব্যাপারে দফতরের কর্তাদের থেকে পরামর্শ নেবেন৷
সোনাউল্লা স্কুলের প্রাথমিক বিভাগের তিনটি শৌচাগার, একটি মিড ডে মিলের রান্না ঘর ও সীমানা পাঁচিলের একাংশ ভেঙে কালী পুজোর মণ্ডপ তৈরির অভিযোগ ওঠে জলপাইগুড়ির যুবমঞ্চ ক্লাবের বিরুদ্ধে৷ ওই ক্লাবের সম্পাদক আবার জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক জলঘোলাও শুরু হয়৷ ঘটনায় ক্ষুব্ধ জলপাইগুড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ প্রধান শিক্ষকের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠায়৷
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান ধর্তিমোহন রায় বলেন, ‘‘রিপোর্টে প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, পুজোয় মাঠ ব্যবহারের জন্য সোনাউল্লা হাই স্কুলের থেকে অনুমতি নিয়েছিল ক্লাবটি৷ পুজোর আগে ছুটির সময় স্কুলের শৌচাগার, রান্নাঘর ঠিকই ছিল৷ কিন্তু পুজোর ছুটির পর স্কুলে গিয়ে তারা দেখতে পান তিনটি শৌচাগার ও রান্না ঘর ভেঙে পড়ে রয়েছে৷’’
ধর্তিমোহনবাবু বলেন, ‘‘দুই একদিনের মধ্যেই বিষয়টি রাজ্য শিক্ষা দফতরকে জানানো হবে৷ বিষয়টি জানানো হবে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনকেও৷ তারপরই তাদের পরামর্শে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷’’ তবে বিষয়টি নিয়ে এদিন কোন মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন মোহন বসু ৷
এদিকে সোনাউল্লা নিয়ে এদিন ক্লাবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ডিওয়াইএফআই-এর তরফে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ ও প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষককে স্মারকলিপি প্রদান করা হয় ৷ একই বিষয়ে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে ছাত্র পরিষদ ৷
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy