ভেঙে পড়েছে নির্মীয়মাণ সেতুর একটি অংশ।ফাঁসিদেওয়ার কাছে ৩১ডি জাতীয় সড়কের উপর।
কী করে ভেঙে পড়ল উড়ালপুলের অংশ, তা নিয়ে বিচার বিবেচনা শুরু হয়েছে। কিন্তু ঘটনার পরে এলাকা পরিদর্শন করে সংস্থার বিরুদ্ধে এফআইআরের নির্দেশ দিয়েছিলেন জেলাশাসক জয়শী দাসগুপ্ত। কিন্তু প্রশাসনের তরফে কোনও ২৪ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও তা দায়ের করা হয়নি। রবিবার জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, এ দিন ফাঁসিদেওয়া থানায় একটি লিখিত বিবরণ জানানো হয়েছে। যদিও পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, সাধারণ একটি বিবরণ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সাধারণ বিবরণকে সাধারণত জিডি হিসেবে মান্য করা হয় না। রবিবার জেলাশাসক বলেন, ‘‘জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের অভিযোগ জিডি হিসেবে মান্য করার কথা।’’
আপাতত কাজ বন্ধ থাকলেও সাধারণ মানুষের মন থেকে আতঙ্ক কাটেনি। এলাকার বাসিন্দা বধূ নীলিমা রায় বলেন, ‘‘আমরা খুবই ভয়ে রয়েছি। স্কুল, বাজার ওই উড়ালপুলের রাস্তা দিয়েই যেতে হয়। এখন রাস্তা ঘিরে বন্ধ করে দিয়েছে। বাইরে দিয়ে ঘুরে যাচ্ছি। কিন্তু উড়ালপুল তৈরির পর কী হবে তাই ভয় পাচ্ছি।’’ শনিবার ভোরে রাস্তার ধারের উড়ালপুলের একটি প্রচণ্ড শব্দে পড়ে যায়। তারপর থেকে আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী। তার ভিত্তিতেই ব্লক তৃণমূল সভাপতি আইনূল হক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। বাসিন্দাদের আতঙ্কের কারণ হিসেবে সামনে এসেছে কর্তৃপক্ষের বার বার লরির ধাক্কায় ভেঙে পড়ার তত্ত্ব। কান্তিভিটার আরও এক গ্রামবাসী অমিয় মণ্ডল বলেন, ‘‘আমরা কোনও ট্রাকের ধাক্কার ইঙ্গিত পাইনি। ঠিক কারণ না খুঁজে বারে বারে এ ভাবে অন্য একটা বিষয়কে টেনে আনা হচ্ছে। এখন মনে হবে অন্য স্ল্যাবগুলিও ভেঙে পড়তে পারে।’’
তবে সব কিছুর পরেও বাইরে থেকে ধাক্কার তত্ত্বে দাঁড়িয়ে রয়েছে নির্মাণকারী সংস্থা। রবিবারও মুম্বই থেকে ভাঙা উড়ালপুল পরিদর্শনে আসেন সংস্থার জাতীয় কারিগরি কর্ণধার পিকে গুহ। তিনি বলেন, ‘‘ডিজাইনে গোলমাল থাকলে বা সামগ্রীতে সমস্যা থাকলে অন্য পিলারগুলি থেকেও গার্ডার পড়ে যেত। বাইরে থেকে ধাক্কা না খেলে কংক্রিট হঠাৎ করে ভাঙে না।’’ সংস্থার ডিজাইন ইঞ্জিনিয়াররা আসবেন সোমবার। পূর্ত দফতরের কর্তাদেরও সোমবারই যাওয়ার কথা। তারপরেই জেলাশাসকের কাছে নির্মাণকারী সংস্থা, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ও পূর্ত দফতর যৌথ রিপোর্ট পেশ করবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy