Advertisement
E-Paper

দর্শন বিষয় চালুর দাবিতে শিক্ষকেরা ঘেরাও ২ স্কুলে

উচ্চ মাধ্যমিকে উন্নীত করা এবং দর্শন বিষয় চালুর দাবিতে ছাত্র বিক্ষোভের জেরে রাজগঞ্জের দু’টি স্কুলে পঠনপাঠন শিকেয় উঠেছে। সোমবার জেলা স্কুল পরিদর্শক স্কুলে যান। তাঁর আশ্বাস পেয়ে মান্তাদরি হাই স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা ঘেরাও মুক্ত হয়। দর্শন বিষয় চালুর আশ্বাস পেয়ে কেবলপাড়া হাই স্কুলে বিক্ষোভ তুলে নেয় ছাত্ররা। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের জলপাইগুড়ি জেলা স্কুল পরিদর্শক স্বপন সামন্ত বলেন, “চলতি শিক্ষা বর্ষে মন্তাদরি হাই স্কুলকে উচ্চ মাধ্যমিকে উন্নীত করা হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৫ ০২:৩৩

উচ্চ মাধ্যমিকে উন্নীত করা এবং দর্শন বিষয় চালুর দাবিতে ছাত্র বিক্ষোভের জেরে রাজগঞ্জের দু’টি স্কুলে পঠনপাঠন শিকেয় উঠেছে। সোমবার জেলা স্কুল পরিদর্শক স্কুলে যান। তাঁর আশ্বাস পেয়ে মান্তাদরি হাই স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা ঘেরাও মুক্ত হয়। দর্শন বিষয় চালুর আশ্বাস পেয়ে কেবলপাড়া হাই স্কুলে বিক্ষোভ তুলে নেয় ছাত্ররা। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের জলপাইগুড়ি জেলা স্কুল পরিদর্শক স্বপন সামন্ত বলেন, “চলতি শিক্ষা বর্ষে মন্তাদরি হাই স্কুলকে উচ্চ মাধ্যমিকে উন্নীত করা হবে। সেখানে পঠনপাঠন শুরু হয়ে যাবে। অন্যদিকে শিক্ষকের সমস্যার জন্য কেবলপাড়া হাই স্কুলে দর্শন পড়ানো বন্ধ ছিল। সেটাও চালু করার চেষ্টা চলছে।” ছাত্রছাত্রীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, আশপাশে উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল না থাকায় মন্তাদরি এলাকার ১৬৯ জন মাধ্যমিক উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রী এখনও ভর্তি হতে পারেনি। ওই পড়ুয়াদের মধ্যে মাত্র ১৪ জন ছাত্র। বাকিরা ছাত্রী। তাঁদের অভিযোগ, দশ কিলোমিটার দূরে উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল থাকলেও সেখানে ভিড়ের জন্য ভর্তির সুযোগ মিলছে না। ছাত্রীদের অভিযোগ অস্বীকার করেননি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শর্বরী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “স্কুল্কে উচ্চ মাধ্যমিকে উন্নিত করার বিষয় কর্তৃপক্ষকে জানান হয়েছে। কিন্তু ওই বিষয়ে কাগজপত্র হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কিছু করতে পারছি না।” বিকেল নাগাদ মধ্য শিক্ষা পর্ষদের জলপাইগুড়ি জেলা স্কুল পরিদর্শক স্কুলে পৌঁছে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের লিখিত আশ্বাস দিলে ঘেরাও উঠে যায়। এদিকে দর্শন বিষয় চালুর দাবিতে ছাত্র বিক্ষোভের জেরে কেবলপাড়া হাই স্কুলে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তিন দিন থেকে সেখানে ছাত্র বিক্ষোভ চলছে। ছাত্রদের অভিযোগ, স্কুলে দর্শন বিষয় পড়ান হত। এবার সেটা বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিকাশ সিদ্ধা জানান, শিক্ষক নেই। কর্তৃপক্ষ আপাতত ওই বিষয়টি বন্ধ রাখতে বলেছেন। তাই বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে বিষয়টি ফের চালু করার চেষ্টা চলছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের জলপাইগুড়ি জেলা স্কুল পরিদর্শক বলেন, “ওই বিষয়ের শিক্ষক না থাকায় সমস্যা হয়েছে। চেষ্টা চলছে।” ছাত্ররা এদিন স্কুল কর্তৃপক্ষের আশ্বাস পেয়ে তাঁদের আন্দোলন তুলে নেয়।

Jalpaiguri zilla School Student philosophy Jalpaiguri
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy