ফাঁদ: চিতাবাঘ ধরতে পাতা হয়েছে খাঁচা। নিজস্ব চিত্র
শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের পিছনের ঝোপে বাচ্চা দিয়েছে চিতাবাঘ। এই সন্দেহ গাঢ় হতেই ছোটদের স্কুলে পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছেন অভিভাবকরা। তাই গত ১৫ দিন ধরে পড়ুয়াদের উপস্থিতি একেবারেই কমে গিয়েছে রাজাভাতখাওয়ার নয়াবস্তি এলাকার শিশু শিক্ষা কেন্দ্রটিতে।
বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সন্ধে নামলেই ঘরে ঘরে হানা দিচ্ছে চিতাবাঘ। প্রায় প্রতিরাতেই গৃহস্থের গরু, ছাগল, শুয়োর নিয়ে যাচ্ছে। রাজাভাতখাওয়ার ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ অফিসার শৌভিক ঝা বলেন, ‘‘জঙ্গল সংলগ্ন নয়াবস্তি এলাকায় চিতাবাঘ হানা দিচ্ছে। অনেকের গবাদিপশু নিয়ে গিয়েছে বলে খবর। বৃহস্পতিবার সকালে এলাকায় একটি খাঁচা পাতা হয়েছে। গ্রামের আশেপাশের ঝোপ পরিষ্কার করা হবে।’’
বন দফতরের অভয়ে অবশ্য সন্তুষ্ট নন গ্রামবাসীরা। তাঁরা জানান, এত দিন এলাকায় হাতির উপদ্রব ছিল। এ বার চিতবাঘের ভয়। সন্ধ্যা নামলেই ঘর থেকে বের হতে সাহস হচ্ছে না তাঁদের। গ্রামের এক বাসিন্দা কাঞ্চা বিশ্বকর্মা বলেন, ‘‘দিন সাতেক আগে আমার ঘর থেকে চারটি শুয়োর ছানা নিয়ে গেছে চিতাবাঘ। গত মঙ্গলবার রাতে শুয়োরের চিৎকার শুনে বেড়িয়ে দেখি বেড়ার কাছে ওত পেতে রয়েছে চিতাবাঘটি। হাতের সামনে পড়ে থাকা পাথর ছুড়ে মারায় গরগর করতে করতে পালিয়ে যায়।’’
শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষিকা গীতা বড়ুয়া, সরস্বতী ঘোষরা জানান, শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের পেছনের ঝোপে চিতাবাঘ বাচ্চা দিয়েছে বলে শুনেছেন তাঁরা। তাই অনেক অভিভাবক আর আতঙ্কে শিশুদের কেন্দ্রে পাঠাচ্ছেন না। স্কুলের আরএক শিক্ষিকা স্বরস্বতী ছেত্রীর বাড়ি স্কুলের একেবারে পাশেই। তিনি জানান, গত রবিবার তাঁর গোয়ালঘরে ঢুকে চিতাবাঘটি একটি বাছুর মেরে খেয়ে যায়। সোমবার রাত এগারোটা নাগাদ পাশের বাড়ির কল্পনা গুরুঙ্গের বাড়ির টিনের বেড়া ভেঙে একটি ছাগল নিয়ে গিয়েছে চিতাবাঘটি। স্কুলের পেছনের ঝোপে দু’তিনটে গরু ও ছাগলের দেহও মিলেছে। পাশের গারো বস্তিতেও চিতাবাঘটি হামলা চালাচ্ছে বলে জানতে পেরেছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy