প্রতীকী ছবি।
এক পরীক্ষার্থী চারটি বিষয়ে পরীক্ষার খাতা অনলাইনে জমা করেছিলেন। তিনটির নম্বর এসেছে। একটি অনুপস্থিত বলে রেজাল্টে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্য একজন গত বছর একটি গ্রুপে ব্যাক পান। এবছর পরীক্ষা দিয়েছেন। অথচ তারও বিভিন্ন বিষয়ের নম্বরের জায়গায় অনুপস্থিত বলে লেখা। অথচ অনলাইনে খাতা জমা করার পর, কলেজে গিয়েও খাতা জমা করেছিলেন। কোনও এক ভাবে খাতা জমা করলেই চলে। ওই ছাত্র দেরিতে গিয়েছেন তাই খাতা জমা না নিলেও জানানো হয়, যেহেতু অনলাইনে জমা করেছেন, খাতা আর জমা না দিলেও হবে। এমন সমস্যায় পরে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন অনেক পড়ুায়াই।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক দেবাশিস দত্ত জানান, এমন সমস্যা অনেকের হয়েছে বলে জানতে পারছেন। এবছর সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষই পড়ুয়াদের খাতা দেখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে নম্বর পাঠিয়েছেন। অনেকের অনুপস্থিতির বিষয়টি নজরে পড়লে কলেজগুলির কাছে জানতেও চাওয়া হয়। তারা জানান ওই পড়ুয়ারা খাতা জমা করেননি। তিনি বলেন, ‘‘খাতা জমা করার প্রমাণের নথি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কলেজে জানাক পড়ুয়ারা। ৭ নভেম্ব পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। পড়ুয়াদের স্বার্থে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
শিলিগুড়ি কলেজে বিএ চূড়ান্ত শিক্ষাবর্ষের ছাত্র শালুগাড়ার আদিত্য সুব্বা। রাষ্ট্র বিজ্ঞান, ইংরেজি, ইতিহাস এবং সোসিওলজি বিষয়ে পরীক্ষা দেন ওই ছাত্র। অনলাইনে খাতা জমা দেন। সোসিওলজিতে তাঁর নম্বরের জায়গায় অনুপস্থিত লেখা। অসম্পূর্ণ রেজাল্ট হলে এমএ’তে ভর্তি হতে পারবেন না। ১ নভেম্বর থেকে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তি শুরু হচ্ছে। শিলিগুড়ি কমার্স কলেজের ছাত্র কুনাশ শর্মা গত বছর ব্যাক পাওয়ায় এ বছর ফিন্যানশিয়াল অ্যাকাউটেন্সি, কর্পোরেট অ্যাকাউটেন্সি এবং স্ট্যাটিসটিক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘অনলাইনে খাতা জমা করেছি। নথিও রয়েছে। নম্বরের জায়গায় অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে। সোমবার কলেজে গিয়ে জানাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy