Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Pradhan Mantri Awas Yojana

‘টাকা এনেছি আমরা, বাড়ি আদায় করুন’

আলিপুরদুয়ার জেলার গ্রামীণ এলাকায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি তৈরির কাজে উপভোক্তাদের তথ্য যাচাইয়ের কাজ রবিবার থেকে শুরু করেছে প্রশাসন।

বিজেপির জেলা পার্টি অফিস তৈরির কাজের শিলান্যাস করে়ছেন সুকান্ত মজুমদার। নিজস্ব চিত্র

বিজেপির জেলা পার্টি অফিস তৈরির কাজের শিলান্যাস করে়ছেন সুকান্ত মজুমদার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২২ ০৭:৩৬
Share: Save:

রাজ্যের গ্রামীণ এলাকায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি তৈরির কাজের জন্য তাঁরাই কেন্দ্রের থেকে আর্থিক বরাদ্দ বার করে এনেছেন বলে দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, টাকা দিলে কেন্দ্রকে তার হিসাবও দিতে হবে।

আলিপুরদুয়ার জেলার গ্রামীণ এলাকায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি তৈরির কাজে উপভোক্তাদের তথ্য যাচাইয়ের কাজ রবিবার থেকে শুরু করেছে প্রশাসন। এ দিনই আলিপুরদুয়ার শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে গোবিন্দ হাই স্কুলের পাশে ভূমি পুজোর মাধ্যমে বিজেপির জেলা পার্টি অফিস তৈরির কাজের শিলান্যাস করেন সুকান্ত। সেখানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “আমরাই তো দাবি করে ৮ হাজার ২০০কোটি টাকা (কেন্দ্রের থেকে) বার করে নিয়ে এলাম। মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতা ছিল না কি? ১১ লক্ষ বাড়ি পাবে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ।” এর পরেই উপভোক্তাদের উদ্দেশ্যে সুকান্ত বলেন, “কলার ধরে বাড়ি আদায় করুন। নরেন্দ্র মোদী টাকা দিয়েছেন। আপনার জন্য। আপনার বাড়ির জন্য। একটা তৃণমূল নেতাকে এক টাকাও দেবেন না।” সেই সঙ্গে বলেন, “টাকা দিলে কেন্দ্রকে হিসাব দিতে হবে। তুমি টাকা চুরি করবে। বান্ধবীর ফ্ল্যাটে জমাবে। সে জন্য টাকা দেব না কি আমরা? সাধারণ মানুষের টাকা সাধারণ মানুষের কাছে যাবে।”

বহু চর্চিত ডিসেম্বর ‘ডেড লাইন’ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সুকান্ত বলেন, “আমরা বলেছি ডিসেম্বর এলে শীত বাড়বে। সরকার কাঁপবে। অপেক্ষা করুন না একটু।” তবে এর পরেই দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “তৃণমূলের কয়েক জন নেতা এখনও লাফালাফি করছেন। চিন্তা নেই এই ধেড়ে ইঁদুররা খাঁচার মধ্যে ঢুকবেন। বিচারপতি গাঙ্গুলী বলেছেন, অনেক ধেড়ে ইঁদুর আছে। স্বাভাবিকভাবেই এরা ঢুকবে। খাঁচা তৈরি হচ্ছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘তৃণমূলের ইনিংস শেষ। এ বার আপনাদের ইনিংস শুরু হবে। আপনারা ব্যাটিং করুন। চার-ছয় মারতে থাকুন। আম্পায়ার আমাদের সঙ্গে আছে।”

কাঁথিতে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “আমরা দরজা সামান্য খুললে বিজেপি দলটাই থাকবে না।” যার উত্তরে সুকান্ত পাল্টা বলেন, “ওঁর থেকে অনেক বড় বড় রথি-মহারথি ইন্দিরা গাঁধী, জওহরলাল নেহেরুরা বিজেপির আদর্শকে শেষ করার চেষ্টা করেছিলেন। সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিতান্তই ব্যাঙাচির থেকে খুব বড় হবেন না।” এর পরেই বালি চুরির বিরুদ্ধে দলের আলিপুরদুয়ারের বিধায়কদের আন্দোলনে নামার নির্দেশ দিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “এখানে বালি লুঠ হচ্ছে। আর সবই হচ্ছে ভাইপোর মদতে।”

দলের আলিপুরদুয়ারের নেতা-কর্মীদের এ দিন কোমর বেঁধে লড়াই করার বার্তা দেন সুকান্ত। সেই সঙ্গে এ দিন শিলান্যাস হওয়া জেলা পার্টি অফিস তৈরি হলে দলের বিধায়কদের পালা করে এক দিন সেখানে বসে মানুষের সমস্যা সমাধানের নির্দেশও দেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Pradhan Mantri Awas Yojana Sukanta Majumdar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE