Advertisement
E-Paper

নিচু এলাকায় নজরদারি

এক রাতে ১৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টিতে জলমগ্ন জলপাইগুড়ি। কমল প্রায় ছ’ডিগ্রি তাপমাত্রাও। রবিবার রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। রাতভর টানা বৃষ্টি চলেছে। শহরের প্রধান রাস্তাগুলিতে জমেছে জল। সঙ্গে হাওয়ায় হিমেল ছোঁয়াও।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:৫৪
ভোগান্তি: জল জমেছে জলপাইগুড়ির রাস্তায়। নিজস্ব চিত্র

ভোগান্তি: জল জমেছে জলপাইগুড়ির রাস্তায়। নিজস্ব চিত্র

এক রাতে ১৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টিতে জলমগ্ন জলপাইগুড়ি। কমল প্রায় ছ’ডিগ্রি তাপমাত্রাও। রবিবার রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। রাতভর টানা বৃষ্টি চলেছে। শহরের প্রধান রাস্তাগুলিতে জমেছে জল। সঙ্গে হাওয়ায় হিমেল ছোঁয়াও।

শহরের অন্তত ১২টি ওয়ার্ড জলমগ্ন হয়ে পড়ে। সকালে শহরের কয়েকটি এলাকা জলবন্দি হয়ে পড়লেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জল নামতে শুরু করে। শহরের বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রগুলি খুলে দেওয়া হলেও কোনও বাসিন্দা সেখানে আশ্রয় নেয়নি। তবে করলা নদীর জল বিপদসীমা ছুঁয়ে বইছে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর থেকে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পুর্বাভাস দেওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে বাসিন্দারা। জেলাশাসক শিল্পা গৌরীসারিয়া বলেন, “সকালে দিকে সব নদীর জল বেড়েছিল। পরের দিকে জল অনেকটাই কমতে থাকে। জেলা সদরের পরিস্থিতিও নজরে রাখা হয়েছে। ত্রাণসামগ্রী মজুত রয়েছে।”

গত কয়েকদিন থেকে চড়া রোদে অতিষ্ঠ হয়েছিল শহরের জনজীবন। সোমবার সকালে দশটায় টাউন স্টেশন লাগোয়া দু’নম্বর গুমটি এলাকার রাস্তায় হাঁটতে গোড়ালি ডুবেছে বাসিন্দাদের। সকাল ৯টা পর্যন্ত কদমতলার রাস্তা দিয়ে জল বয়েছে তোড়ে। অশোকনগর, জয়ন্তীপাড়া, রায়কতপাড়া এবং পাণ্ডাপাড়ার গলিতে জল দাঁড়িয়ে পড়ে। অশোকনগরের বাসিন্দা বিদ্যুত চক্রবর্তীর কথায়, “রাস্তায় তো প্রায় হাঁটু জল, সাইলকেলও চালানো যায়নি।” পুরকর্মীদের থেকে বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু বলেন, “জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ চলছে। অতিবৃষ্টির সর্তকতা রয়েছে। নিকাশি নালা দিয়ে যথাযথভাবে জল বের হচ্ছে কি না তা নজর রাখছেন পুরকর্মীরা।”

শহরের অন্তত দেড়শ বাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছিল বলে দাবি। পুরসভার দাবি, অল্প সময়ের মধ্যে প্রবল বৃষ্টির কারণে জমা জল বের হতে পারেনি। তিস্তায় লাল সর্তকতা জারি করা হয়েছিল। তিস্তা এবং করলা দুই নদীতেই জল বাড়তে থাকাতেই শহরে বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা হয়। পুরসভার পুর পরিষদের সদস্য সন্দীপ মাহাতো বলেন, “তুলনামূলক নিচু এলাকাগুলিতে নজরদারি রয়েছে। নৌকা থেকে শুরু করে শুকনো খাবার সবই মজুত রয়েছে।’’ সোমবার বিকেলের পরে বৃষ্টি কমলেও আকাশে কালো মেঘ রয়েছে। দিনভর রোদের দেখা মেলেনি।

Surveillance Water Rain Jailpaiguri
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy