Advertisement
E-Paper

পাকুয়াহাটে শুভেন্দুর সভা, জল্পনা

১১ জানুয়ারি মালদহের পাকুয়াহাটে জনসভা রয়েছে তৃণমূলের। সেখানে প্রধান বক্তা দলের মালদহ জেলা পর্যবেক্ষক তথা পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৯ ০৬:২৭
শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র

শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র

১১ জানুয়ারি মালদহের পাকুয়াহাটে জনসভা রয়েছে তৃণমূলের। সেখানে প্রধান বক্তা দলের মালদহ জেলা পর্যবেক্ষক তথা পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।
সূত্রের খবর, সেই সভার আগের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার জেলার দলীয় সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান-উপপ্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি-সহকারী সভাপতি, জেলা পরিষদ সদস্য, এমনকী দুই পুরসভা, ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদহের কাউন্সিলরদের নিয়ে একটি জরুরি বৈঠক করবেন শুভেন্দু। জেলা সফরে এসে শুভেন্দুর এই ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের দলীয় পদাধিকারী ও পুরসভার কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠককে ঘিরে দলের নেতৃত্ব তো বটেই, রাজনৈতিক মহলেও ছড়িয়েছে জোর জল্পনা। দলীয় সূত্রে খবর, ওই বৈঠকে শুভেন্দু জেলার সমস্ত ত্রিস্তর পঞ্চায়েত পদাধিকারী ও কাউন্সিলরদের আসন্ন লোকসভা ভোটে ভোট ব্যাঙ্কের টার্গেট বেঁধে দিতে চলেছেন।
১৯ জানুয়ারির ব্রিগেড সমাবেশকে সামনে রেখে ১০ ডিসেম্বর কালিয়াচক ২ ব্লকের মোথাবাড়ি পিডব্লিউডি মাঠে জনসভা করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি দলীয় প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্যদের বিশেষ নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, লোকসভা ভোটে প্রধানদের অঞ্চল পিছু অন্তত চার থেকে পাঁচ হাজার ভোট লিড দিতে হবে। ১৩টি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদেরও ব্লক থেকে অন্তত ৫০ হাজার ভোটে লিড দলকে দিতে হবে। জেলা পরিষদের সভাপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডলকে হবিবপুর ব্লক ও সহকারী সভাধিপতি চন্দনা সরকারকে বামনগোলায় ভোট বাড়ানোর দায়িত্ব দেওয়ার কথাও সেদিন ঘোষিত হয়।
এ বার জেলা সফরে এসে জেলার সেই ত্রিস্তর পঞ্চায়েত পদাধিকারী ও পুরসভার কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকে ডাকায় সেই মোথাবাড়ির সভার কথাই মনে পড়ছে রাজনৈতিক মহলের একাংশের। প্রশ্ন উঠেছে, কেন এ ভাবে প্রধান, সভাপতি, জেলা পরিষদ সদস্য বা কাউন্সিলরদের কাছ থেকে ভোট লিড নেওয়ার কৌশল নেওয়া হচ্ছে?
শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ দলের এক জেলা নেতা বলেন, ‘‘গত পঞ্চায়েত ভোটের সাফল্যের নিরিখে মালদহের দু’টি লোকসভা আসনই এ বার দলনেত্রীকে উপহার দিতে চাইছেন শুভেন্দু। কিন্তু বিজেপি জেলায় দ্বিতীয় শক্তি হিসেবে উঠে আসায় নিতে হচ্ছে নানা রণকৌশল। প্রধান, সভাপতি বা জেলা পরিষদ সদস্যরা যেহেতু দলের তরফেই পদে বসেছেন সে কারণে তাঁদেরও ভোটের কাজে নামাতে চাইছেন তিনি।
দলের কার্যকরী জেলা সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, ‘‘শুভেন্দুবাবু ১০ তারিখ জেলায় আসবেন এবং সেদিন বিকেলে জেলার ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের পদাধিকারী ও দুই পুরসভার কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করবেন। পরদিন জনসভা হবে বামনগোলা ব্লকের পাকুয়াহাটে।’’

Politics Suvendu Adhikari TMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy