কলকাতা পুরসভার ওয়ার্ডভিত্তিক পরিষেবা দেওয়ার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের। কিন্তু বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, ওয়ার্ডের সীমানা নির্ধারণ স্পষ্ট না হওয়ায় কে পরিষেবা দেবেন, তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হচ্ছে খোদ কাউন্সিলরদের মধ্যেই। সেই সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে এ বারের পুরসভা অধিবেশনে সরব হয়েছিলেন এক কাউন্সিলর।
গত বৃহস্পতিবার কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশনে এই বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন ১২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রূপক গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর প্রশ্ন ছিল, দু’টি ওয়ার্ডের মধ্যবর্তী এলাকায় আলোর পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে কলকাতা পুরসভার কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম আছে কি না? যদি থাকে, তবে কী ভাবে তা নির্ধারণ করা হয় এবং তা কোন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের দায়িত্ব?
আরও পড়ুন:
নিজের প্রশ্ন উল্লেখ করে কাউন্সিলর রূপক বলেন, ‘‘কলকাতা পুরসভার নিয়ম-নীতি অনুযায়ী প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের রাস্তা, জল, নিকাশি, আলো ও বর্জ্য অপসারণের প্রতিটি ক্ষেত্রে নাগরিক পরিষেবা আমরা দিয়ে থাকি। তিনি আরও বলেন, ‘‘ভৌগোলিক ভাবে প্রতিটি ওয়ার্ডের সীমানা নির্দিষ্ট করা আছে। প্রতিটি ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে পূর্ব-পশ্চিম এবং উত্তর-দক্ষিণের ওয়ার্ডগুলির সঙ্গে সীমানা নির্ধারিত হয়েছে রাস্তার মাধ্যমে। এই রাস্তাগুলিই মূলত এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডকে আলাদা করে রেখেছে।’’ এমন বক্তব্যের পরেই কাউন্সিলর রূপক ওয়ার্ডে পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে সীমান্তবর্তী এলাকার নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিমর কাছে।
আলো সংক্রান্ত বিষয়ে জবাব দেন মেয়র পরিষদ (আলো) সন্দীপরঞ্জন বক্সী। তিনি জানান, এই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কলকাতা পুরসভার নির্দিষ্ট কোনও নিয়ম নেই। তবে রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে কোনও একটি ওয়ার্ডকে সীমানা এলাকার দায়িত্ব দেওয়া হয়ে থাকে। পাশাপাশি ওই কাউন্সিলর প্রশ্ন তোলেন, দু’টি ওয়ার্ডের সীমানা এলাকায় আলো ও বর্জ্য অপসারণের দায়িত্ব ওয়ার্ড দু’টির মধ্যে কী ভাবে বণ্টন করা হয়? এই প্রশ্নের জবাবে মেয়র জানান, আলো সংক্রান্ত বিষয়ে জবাব সংশ্লিষ্ট মেয়র পারিষদ আপনাকে দিয়েছেন। আর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিষয়ে জবাব আপনাকে দিতে পারবেন মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার। তবে বর্জ্য সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘‘এ ক্ষেত্রে আলাদা ব্লক তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। সেই ব্লকের দায়িত্ব সীমানা এলাকায় বর্জ্য নিষ্কাশন করা।’’