প্রতীকী ছবি।
‘কোন্দলের’ আবহে তৃণমূলের নবগঠিত আলিপুরদুয়ার জেলা কমিটির প্রথম বৈঠক সফল করতে আসরে নামল ‘টিম পিকে’। তৃণমূল সূত্রে খবর, সোমবার শহরের রবীন্দ্র মঞ্চে ওই বৈঠকে যোগ দিতে ‘বিক্ষুব্ধ’ নেতাদের অনেককেই ‘টিম পিকে’-র তরফে ফোন করা হয়েছে। তার পরেও অবশ্য দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি মোহন শর্মা-সহ বিক্ষুব্ধ নেতাদের বেশিরভাগই জেলা কমিটির বৈঠকে যেতে নারাজ বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
গত লোকসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে ভরাডুবির পরে দলের জেলা শীর্ষ নেতৃত্বে পরিবর্তন করেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের অন্দরমহলের খবর, তখন থেকেই আলিপুরদুয়ারে গোষ্ঠী কোন্দল শুরু হয়। অক্টোবর মাসের শুরুতে তৃণমূলের নতুন জেলা কমিটি গঠনের পরে সেই কোন্দল কোথাও কোথাও কার্যত বিদ্রোহের রূপ নেয়। একাধিক নেতা প্রকাশ্যেই জেলা কমিটির পদ ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন। কেউ কেউ আবার দল ছাড়ার কথাও সংবাদমাধ্যমে জানাতে শুরু করেন।
এই পরিস্থিতিতে দলের নতুন জেলা কমিটি গঠনের প্রায় দু’মাস পরে সোমবার তার প্রথম বৈঠক বসতে চলেছে। তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব সূত্রে খবর, বৈঠকে যোগ দিতে ইতিমধ্যেই জেলা কমিটির সব পদাধিকারীকে বলা হয়েছে। কিন্তু দলের বিক্ষুব্ধ অনেক নেতাই নতুন জেলা কমিটির প্রথম বৈঠকে যেতে নারাজ। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা কমিটির প্রথম বৈঠকে সকলকে উপস্থিত করিয়ে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের ঐকবদ্ধ ছবি তুলে ধরতে আসরে নেমেছে ‘টিম পিকে’ও।
দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করা আশিস দত্ত যে এই বৈঠকে যোগ দেবেন না তা রবিবার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু তৃণমূল সূত্রের খবর, দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি মোহন শর্মাও কার্যত সেই পথেই হাটছেন। যদিও বৈঠকে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে মোহন এ দিন শুধু বলেন, “আমি বাইরে রয়েছি।”
নতুন জেলা কমিটি ঘোষণা হওয়ার পরে প্রকাশ্যে মুখ খোলা তৃণমূলের আলিপুরদুয়ারের এক শীর্ষ নেতা রবিবার বলেন, “আমি নিজেও টিম পিকে-র তরফে ফোন পেয়েছি। কিন্তু আমি যে সোমবারের বৈঠকে যাব না, তা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি।” দলের আরেক নেতা বলেন, “বর্তমানে জেলায় দল যে ভাবে চলছে, তাতে অনেকেই ক্ষুব্ধ। এই ক্ষোভ মেটাতে আগে গোটা পরিস্থিতি বদল করতে হবে। বর্তমান জেলা শীর্ষ নেতৃত্বের উপরেই সেই দায়িত্ব বর্তায়।”
যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, “টিম পিকে-র সঙ্গে আমার কথা হয়নি। তাই তাঁরা কী করছেন জানি না। সোমবারের বৈঠকে কারা উপস্থিত থাকবেন বা থাকবেন না, তা বৈঠকের সময়েই বুঝতে পারব।” তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের একাংশের অবশ্য আশা, সোমবারের বৈঠকে দলের জেলা কমিটির বেশিরভাগ পদাধিকারীই থাকবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy