নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহে অভিযুক্ত এক গ্রামীণ চিকিৎসককে (হাতুড়ে) নিয়ে শনিবার তেতে উঠল উত্তর দিনাজপুরের একটি থানা এলাকা। অভিযুক্তকে মারধর, তার দোকান ভাঙচুর করে জনতা। স্থানীয় সূত্রের খবর, অভিযুক্তকে উদ্ধার করতে গিয়ে লাঠি চালাতে হয় পুলিশকে। তবে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ মানেনি ওই গ্রামীণ চিকিৎসক।
সংশ্লিষ্ট পুলিশ-জেলার এক কর্তা বলেন, ‘‘অভিযুক্তকে ধরা হয়েছে। সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার তদন্তও চলছে।’’ তাঁর দাবি, পুলিশ লাঠি চালায়নি।
সূত্রের খবর, এ দিন সকালে হাতে-পায়ে চোট পেয়ে চিকিৎসার জন্য ওই গ্রামীণ চিকিৎসকের দোকানে গিয়েছিল মেয়েটি। অভিযোগ, তখনই তাকে যৌন হেনস্থা করে বছর পঁয়ত্রিশের ওই লোকটি। নাবালিকার এক আত্মীয় বলেন, ‘‘বাড়ি ফিরে মেয়েটি পরিবারের লোকেদের ঘটনার কথা জানায়।’’ অভিযোগ, এর পরেই পরিবারের লোকজন ও পড়শিদের একাংশ অভিযুক্তের দোকানে চড়াও হন। জনতা অভিযুক্তেরজামা খুলে, তাকে রাস্তায় ফেলে লাঠি দিয়ে মারধর করে। তার দোকান ভাঙচুর করা হয়।
পুলিশ অভিযুক্তকে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করলে, জনতা দাবি করে, অভিযুক্তকে তাদের হাতে তুলে দিতে হবে। পুলিশকর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে জনতা অভিযুক্তকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা বলে অভিযোগ। তবে পুলিশ জনতাকে হটিয়ে অভিযুক্তকে থানায় নিয়ে যায়। অভিযুক্তের দাবি, ‘‘মিথ্যা অভিযোগে আমাকে মারধর এবং আমার দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। আমিও পুলিশে অভিযোগ দায়ের করব।’’ ধৃতের বিরুদ্ধে পুলিশ ‘পকসো’ ধারায় মামলা দায়ের করেছে। আদালত ধৃতকে তিন দিন পুলিশ হেফাজতে রাখারনির্দেশ দিয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)