—প্রতীকী চিত্র।
রাজ্য জুড়ে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা ‘টেট’ হয়েছে রবিবার। এ দিন পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা পরে, সামাজিক মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়ে (আনন্দবাজার সত্যতা যাচাই করেনি) বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে জলপাইগুড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান লৈক্ষ্যমোহন রায় বলেন, ‘‘প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার কোনও অভিযোগ পাইনি। হতে পারে, গত বছরের প্রশ্নপত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।’’
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের দাবি, জেলার ২২টি কেন্দ্রে পরীক্ষা শান্তিপূর্ণ ভাবেই হয়েছে। এ দিন মোট ৬,৪৩৩ জন পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৫,৫৩৩ জন পরীক্ষা দিয়েছেন বলে জলপাইগুড়ি জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) শ্যামলচন্দ্র রায় জানান। ৮৮১ জন পরীক্ষার্থী এ দিন অনুপস্থিত ছিলেন বলেও জানান তিনি। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রের খবর, বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষার্থীদের একাংশ উপস্থিত না হওয়ায়, তাঁদের পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। শ্যামলচন্দ্র রায় বলেন, ‘‘আমাদের কাছে প্রশ্নপত্র ভাইরাল হওয়ার কোনও অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে, নিশ্চয়ই দেখা হবে।’’
কঠোর নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও প্রশ্নপত্র কী ভাবে সমাজ মাধ্যমে ছড়াল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরীক্ষার্থীদের একাংশ। পরীক্ষা শেষে এ দিন সমাজ মাধ্যমে ছড়ানো প্রশ্নপত্র দেখে তাঁদের দাবি, যে প্রশ্নপত্রে তাঁরা পরীক্ষা দিয়েছেন সেটির এক অংশ ‘ভাইরাল’ হয়েছে। এই পরীক্ষা বাতিলের দাবিও তোলেন তাঁরা। পরীক্ষার্থীদের একাংশকে ‘অনভিপ্রেত’ সুবিধা পাইয়ে দিতেই প্রশ্নপত্র ছড়ানো হয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁদের। পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যত নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।সূত্রের খবর, এ দিন ‘টেট’-এ প্রশ্নপত্রের পাঁচটি ‘সেট’ ছিল। সব প্রশ্ন এক হলেও, বিভিন্ন সেটে প্রশ্নের ক্রমিক সংখ্যা আলাদা ছিল। পরীক্ষার্থীরা জানান, ‘এ-ওয়ান’ প্রশ্নপত্র ভাইরাল হয়েছে।
জলপাইগুড়ি গড়ালবাড়ির পরীক্ষার্থী মোস্তাক আলম বলেন, ‘‘২০১৪ সালে প্রশ্নপত্র ভাইরাল হয়েছিল, আজও হল। এই ধরনের ঘটনা বার বার হচ্ছে।’’ এক পরীক্ষার্থী মেহবুল আলম বলেন, ‘‘এত নিরাপত্তাএত কড়াকড়ি! বায়োমেট্রিক পরীক্ষা করে আমাদের পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকানো হয়েছে। তার পরেও যদি প্রশ্নপত্র সমাজ মাধ্যমে, তা হলে এমন পরীক্ষা কেন নেওয়া হচ্ছে? আমাদের ভবিষ্যত নিয়ে খেলা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy