অতীত: কয়েকমাস আগে জল্পেশে মুকুল রায়। ফাইল চিত্র
মুকুল রায়কে দল থেকে সাসপেন্ড করার প্রভাব উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের উপরে কতটা পড়বে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। কারণ, দল শাস্তি দিলেও তৃণমূলের মাঝারি ও নিচুতলার একাংশ রাজ্যসভার সাংসদ মুকুলবাবুর সঙ্গে থাকবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
কিন্তু একদা মুকুল ঘনিষ্ঠ অনেক নেতা জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গ ছাড়বেন না তাঁরা। মুকুলবাবু অনেকবারই জল্পেশে পুজো দিতে এসেছেন। ময়নাগুড়িতে গাড়ি থেকে নেমে কোনও রেস্তোরাঁয় বসে দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করতে৷ সেখানে মুকুলবাবুর পাশে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের ময়নাগুড়ি-২ নম্বর ব্লক সভাপতি শশাঙ্ক বসুনিয়াকে৷ শশাঙ্কবাবু এ দিন বলেন, ‘‘উনি দলের নেতা ছিলেন৷ কিন্তু তার মানে এটা নয় যে, উনি দল ছাড়লেন বলে আমরাও দল ছাড়ব৷’’ তৃণমূল নেতারা জানান, তাঁরা তাই মুকুলবাবু নিয়ে চিন্তিত নন।
তৃণমূলের ধূপগুড়ির ‘অভিমানী’ কাউন্সিলার অশোক বর্মন নিজেকে মুকুলবাবুর ‘বন্ধু’ বলেই মনে করেন৷ এ বার ধূপগুড়িতে পুর নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে মুকুলবাবু বলেছিলেন, ‘‘অশোক অনেক দূর যাবে।’’ সোমবার তিনি বলেন, ‘‘মুকুল আমার বন্ধু৷ ওর দল ছাড়ার ঘোষণায় মনে আঘাত পেয়েছি৷ তবে আমি তৃণমূলেই থাকব৷ কিন্তু মুকুলের সঙ্গে বন্ধুত্বটা বজায় থাকবে৷’’ দলের জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী সাফ বলেন, ‘‘মুকুলবাবু দল ছাড়লেও, তার প্রভাব জলপাইগুড়ি তৃণমূলে পড়বে না৷’’
তবে শতাধিক অনুগামীর সঙ্গে মুকুলবাবুর সঙ্গেই যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক শুভ্র রায়চৌধুরী। শুভ্রবাবু কিছু দিন আগেই ফেসবুকে মুকুলবাবুর সঙ্গে নিজের ছবি দিয়ে তৃণমূল ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। এদিন তিনি বলেন, “মুকুলদা আমার নেতা। তিনি যেখানে থাকবেন, আমি ও আমার অনুগামীরাও সেই দিকে থাকব।’’ জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্যের দাবি, শুভ্রবাবুর মনের ইচ্ছের কথা জানা নেই। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
কোচবিহারে দলের জেলা সহ সভাপতি আবদুল জলিল আহমেদ অবশ্য বলেন, “তৃণমূলকর্মীরা সবাই দিদির সঙ্গেই আছেন।”
তবে মালদহ জেলার অন্তত ৩০ জন মাঝারি স্তরের তৃণমূল নেতা মুকুলবাবুর সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁদের কয়েকজন জানান, মালদহের অনেকেই মুকুলবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন।
শিলিগুড়িতেও কয়েকজন মুকুলবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে এক যুব নেতা জানান। শিলিগুড়িতে তৃণমূলের জেলা কমিটির সদস্যা ফেসবুকে এমন মন্তব্য করেছেন, যাতে মুকুলবাবুকেই সমর্থন করা হয়ছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তিনি তার দায় নিতে নারাজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy