সাপের বিষকাণ্ডে এ বার উঠে এলো দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার দুই শিক্ষকের নাম৷ তাদের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার জন্য এ দিন জলপাইগুড়ি আদালতে আবেদনও করেছে বন দফতর৷ গত ১৪ অক্টোবর গভীর রাতে ফুলবাড়ি এলাকা থেকে বন দফতরের বেলাকোবা রেঞ্জের কর্মী ও আধিকারিকেরা সাপের বিষ সহ চারজনকে গ্রেফতার করে৷ ১৫ অক্টোবর জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের দশ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন৷ কিন্তু তদন্তের স্বার্থে আদালতে আবেদন জানিয়ে বৃহস্পতিবার তাদের নিজেদের হেফাজতে নেয় বন দফতর৷ জেরা করে ওই দুই শিক্ষকের নাম উঠে আসে৷ জানা গিয়েছে, ওই দুই শিক্ষকের একজন বালুরঘাটের একটি হাই স্কুলের শিক্ষক৷ অপরজন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলারই তপন থানার একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক৷ বন দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছে, ওই দুই শিক্ষকই বিষকাণ্ডে ‘মাস্টারমাইন্ড’৷
বন দফতরের এক কর্তা জানান, ধৃতদের জেরা করে তারা জানতে পেরেছেন, ওই দুই শিক্ষকের মাধ্যমেই পাঁচটি জারে ভর্তি সাপের বিষ বাংলাদেশ থেকে হিলি সীমান্ত দিয়ে এ রাজ্যে ঢুকেছিল৷ তারপর দুই শিক্ষক যোগাযোগ করেন এই ঘটনায় ধৃত বিপুল সরকার, সুজয় কুমার দাস, পিন্টু বন্দ্যোপাধ্যায় ও অমল নুবিয়ার সঙ্গে৷ এই চারজনকে বিষ বিক্রির দায়িত্ব দিয়েছিলেন৷ বিক্রি করতে পারলে বিপুলকে ত্রিশ থেকে চল্লিশ লক্ষ টাকা, সুজয়কে দশ লক্ষ টাকা ও বাকি দু’জনকে সাত লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। বৈকুণ্ঠপুর বন বিভাগের ডিএফওপি আর প্রধান জানান, ‘‘ওই দুই শিক্ষকই বিষ কাণ্ডে মাষ্টারমাইন্ড বলে ধৃতদের জেরা করে আমরা জানতে পেরেছি৷ সে জন্যই তাদের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির জন্য আদালতের কাছে এ দিন আবেদন করা হয়েছে৷’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy