শুকনো খটখটে তিস্তার বুক জুড়ে অসংখ্য চাকার দাগ। বড় ট্রাকের চাকা, ট্রাক্টরের চওড়া চাকা, ভ্যান রিকশার সরু চাকা— দাগ হরেকরকমের। কোনও কোনওটি বসে গিয়েছে গভীর ভাবে। সকাল, বিকেল, গভীর রাত, ভোর— সব সময়েই এই সব গাড়ি বাঁধ দিয়ে নেমে নদী খাতে চলে যাচ্ছে। বালি বোঝাই করে ফিরে যাচ্ছে বিনা বাধায়। জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া পাহাড়পুরে চৌরঙ্গির তিস্তা বাঁধে দাঁড়িয়ে জনা কয়েক যুবক। অপরিচিত কাউকে বাঁধে দেখলে তাঁরাই প্রথমে পরিচয় জানতে এগিয়ে আসছেন।
চৌরঙ্গি মোড় থেকে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার কংক্রিটের রাস্তা কিলোমিটারখানেক এগিয়ে বাঁধের গায়ে শেষ হয়। সেখানে বাঁধ ভেঙে মাটি ঝুরঝুর করে গড়াচ্ছে। চারদিক ধুলো। বাঁধে উঠে দেখা গেল, তিস্তার খাত থেকে বালি বোঝাই করে এগিয়ে আসছে দু’টি বড় ট্রাক বা ডাম্পার। কিছুক্ষণ পরেই একটি ট্রাক্টর বাঁধে উঠে এল। চালকের পাশে বসে এক জন। দুজনের মুখই গামছায় ঢাকা।
কোথায় যাচ্ছে বালি?