ফেসবুক কাণ্ডে পুলিশের পাশে দাঁড়ালো তৃণমূল। সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে জেলা তৃণমূলের নেতৃত্বে বিরাট মিছিল শহর পরিক্রমা করে। ওই বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সুনির্মলজ্যোতি বিশ্বাস এবং টিএমসিপি জেলা সভাপতি অতনু রায়। টোটোচালকরাও এই মিছিলে সামিল হন।
রবিবার ফেসবুক কাণ্ডে ধৃত ব্যবসায়ী দেবজিৎ রায় এবং ব্যাঙ্ককর্মী অনুপম তরফদারকে জামিনে মুক্তি দেয় বালুরঘাট আদালত। তারপরে আদালত চত্বরে উচ্ছ্বাস দেখিয়েছিলেন বহু মানুষ। দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে বালুরঘাট শহরে মোটরবাইক ও ছোটগাড়ি চলাচলের উপর পুলিশি নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করে ফেসবুক পোস্ট করায় কালীপুজোর রাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন দেবজিত ও অনুপম। প্রতিবাদে পরের দিন বুদ্ধিজীবীদের একাংশ শহরে মৌনমিছিল করতে গেলে অনুমতি নেই বলে জানিয়ে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ।
এ দিন আরএসপির জেলা নেতা বিমল সরকার বলেন, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যক্তিগত মত প্রকাশের অভিযোগে দেবজিত ও অনুপমকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এরই প্রতিবাদে মানুষ অরাজনৈতিকভাবে এগিয়ে এসেছিলেন। একটি দুর্ঘটনা ঘটলে যেমন হয়। অথচ তৃণমূলের মতো দায়িত্বশীল শাসক দল পাল্টা বিরোধিতায় নামবে, এটা ভাবা যায় না।’’ বিজেপির জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার অভিযোগ করেন, ‘‘মৌনমিছিল আটকে দেওয়া হয়। আর শাসক দলের বিক্ষোভ মিছিল হলে তা ছাড় পেয়ে যায়। প্রশাসন কতটা নিরপেক্ষ মানুষ দেখতে পাচ্ছেন।’’
তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক সুনির্মলজ্যোতি বিশ্বাসের পাল্টা দাবি, ‘‘যারা সরকারকে হেয় করে পুলিশের ভূমিকার বিরুদ্ধে ফেসবুকে অশ্লীল কুৎসা পোস্ট করে আমি তাদের সমাজ সচেতন নাগরিক বলতে পারব না। তৃণমূল সব সময় এর প্রতিবাদ করবে।’’