৭ জন বিদায়ী কাউন্সিলরকে এ বার রায়গঞ্জ পুরভোটে প্রার্থী করেছিল কংগ্রেস। বুধবার তাঁদের মধ্যে ৩ জনই যোগ দিলেন তৃণমূলে। সব মিলিয়ে কংগ্রেসের তালিকায় থাকা ৪ জন তৃণমূল শিবিরে যোগ দিয়ে প্রার্থী হয়েছেন। বাকিদের ‘ঘরে’ ধরে রাখতে মরিয়া চেষ্টা চলছে কংগ্রেসের অন্দরে।
২০০৩ সাল থেকে কংগ্রেসের দখলে রয়েছে বোর্ড। কংগ্রেসের গড় বলে এই শহরকে ধরা হত। সেখানেই এখন ওই চার প্রার্থীর জায়গায় কাদের দাঁড় করানো হবে, তা পর্যন্ত স্থির করতে পারছে না কংগ্রেস।
এমনকি, এক সময়ে দলের ‘খাসতালুক’ বলে পরিচিত রায়গঞ্জে এমন পরিস্থিতি হওয়ায় পুরভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন অনেকে। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে দলের জেলা সভাপতি তথা পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান মোহিত সেনগুপ্তকেও সদলবলে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেন অনেক নেতা।
দলে ভাঙন ঠেকাতে গত মঙ্গলবারই প্রাক্তন সাংসদ দীপা দাশমুন্সি জেলা নেতাদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছিলেন। এ দিনও দলের বৈঠক হয়েছে। তার পরে মোহিতবাবুর বক্তব্য, ‘‘দল পুরভোটে লড়বেই।’’ দীপাদেবী জানান, সুবিধাবাদী রাজনীতি মানুষ মেনে নেবে না। তাঁর আশা, রায়গঞ্জের সাধারণ মানুষ কংগ্রেসের পাশে রয়েছে। তাঁরাই মোহিতবাবুর নেতৃত্বে পুরবোর্ড গড়তে দলকে সমর্থন করবেন।
কংগ্রেসের দাবি, ধর্ম নিরপেক্ষ দলগুলিকে এই ভাবে দুর্বল করে দিয়ে তৃণমূল আসলে বিজেপি-কেই সাহায্য করছে। তাঁদের দাবি, কংগ্রেসের মতো দল ভেঙে গেলে বিজেপি যে রাজনৈতিক মেরুকরণের চেষ্টা করছে, সেটাই সফল হবে। তাতে ধর্ম নিরপেক্ষ রাজনৈতিক শক্তিগুলি আরও দুর্বল হবে।
বুধবার দুপুরে ৪, ১৮ ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তিন কংগ্রেস প্রার্থী আদেশ মাহাতো, দীনদয়াল কল্যাণী ও বিমলজ্যোতি সিংহ তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। আদেশবাবু এবং দীনদয়ালবাবু বিদায়ী কাউন্সিলর।
তৃণমূল সভাপতি অমলবাবুর দাবি, ‘‘কংগ্রেসের আরও তিন-চারজন বিদায়ী কাউন্সিলর তথা প্রার্থী তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। তবে কিছু ক্ষেত্রে তৃণমূলের প্রার্থীরা সুবিধাজনক জায়গায় থাকায়, তাঁদের আপাতত কংগ্রেসের টিকিটে লড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’’
এ বারে ১৮টি আসনে কংগ্রেস প্রার্থী ঘোষণা করেছিল, বাকি ৯টিতে বামরা লড়বে বলে জানানো হয়। জেলা বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান অপূর্ব পাল বলেন, ‘‘দলের অবস্থান ঠিক করতে আলোচনা চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy