ডুয়ার্সের বন্ধ চা বাগানে দু’দিনে মৃত্যু হল তিন জনের।
বৃহস্পতিবার কয়েকমাস ধরে বন্ধ জয়বীরপাড়া চা বাগানের একজন স্থায়ী ও একজন অস্থায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়। শুক্রবার মৃত্যু হয় আরও একজন অস্থায়ী শ্রমিকের। টাকার অভাবে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যেতে পারেননি বলে দাবি করেছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা।
বাগানের ছোটা লাইনের স্থায়ী শ্রমিক কিরন খোঁয়া বেশ কিছুদিন পেট,মুখ ও চোখ ফুলে যাওয়া ও গ্যাসের অসুখে ভুগছিলেন বলে তাঁর পরিবার জানিয়েছে। কয়েকদিন হাসপাতালে থাকলেও একটু সুস্থ হতেই বাড়ি ফেরেন তিনি। বাড়ি আসার পর ফের অসুখ বেড়ে গেলেও টাকার অভাবে ফের তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া যায়নি বলে অভিযোগ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে হঠাৎ মারা যান কিরণ খোঁয়া। ওই দিন বিকেলেই শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগে মারা যান নিউ লাইনের অস্থায়ী শ্রমিক ৬০ বছরের শৈলেন্দ্র ওঁরাও। তাঁর ছেলে নসিব ওরাও বলেন, “টাকার অভাবেই বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারিনি। কিছুদিন থেকে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন তিনি।’’ শুক্রবার সন্ধ্যায় মারা যান ছোটা লাইনের অস্থায়ী শ্রমিক গোঁসাই মুন্ডা (৩০)।
মাদারিহাট-বীরপাড়া ব্লকের বিডিও রাজীব দাশগুপ্ত বলেন, “মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক।’’ বান্দাপানি গ্রাম পঞ্চায়েতে ওই বাগানের জন্ম-মৃত্যুর নথিভুক্তকরণ হয়। বিডিও জানান, ওই পঞ্চায়েতের প্রধান বলতে পারবেন কী কারণে মৃত্যু হয়েছে ওই শ্রমিকদের। তাঁর দাবি, ‘‘জয়বীরপাড়া চা বাগানে স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু আছে। সেখানে নিয়মিত মেডিক্যাল ভ্যানও যাচ্ছে।’’ বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ ঠিক নয় বলে দাবি করেন বিডিও।
শ্রমিকদের জন্য একশো দিনের কাজ চালু আছে, এছাড়া ওই বাগানে ফাউলাইয়ের টাকাও শ্রমিকদের দেওয়া হয় বলে জানান তিনি। এ দিকে বান্দাপানি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রমেশ ওড়াঁও বলেন, “কোনও চা বাগানের কেউ মারা গেলে সঙ্গে সঙ্গে পঞ্চায়েতে রিপোর্ট করে না।’’ মৃত্যুর খবর শুনেছেন বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘খোঁজ নিয়ে সঠিক তথ্য বলতে পারব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy