Advertisement
E-Paper

পিটিয়ে খুনে ধৃত তিন আত্মীয়ই

এর আগে ওই খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৩ ডিসেম্বর বাড়ি থেকে দীনবন্ধুর স্ত্রী রেখা রায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৫:১২
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

জমি নিয়ে বিবাদের জেরে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগে এক মহিলা সহ নিহতের তিন আত্মীয়কে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং রায়গঞ্জ থানার বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েতের মহারাজপুর এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের নাম দীনবন্ধু রায়, বিজয় রায় ও ভারতী রায়। এ দিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দীনবন্ধুকে ছুটি দেওয়ার পরে তাঁকে সেখান থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দীনবন্ধুর মামাতো ভাই বিজয় ও বিজয়ের স্ত্রী ভারতীকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।

এর আগে ওই খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৩ ডিসেম্বর বাড়ি থেকে দীনবন্ধুর স্ত্রী রেখা রায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে রায়গঞ্জের মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতের নির্দেশে তিনি ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রয়েছেন। এ দিন ধৃত তিন জনকে ওই আদালতে তোলা হলে বিচারক সংগ্রাম সাহা দীনবন্ধুকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। বিজয় ও ভারতীকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশের দাবি, ‘‘দীনবন্ধু ওই খুনের মামলায় প্রধান অভিযুক্ত। সেই কারণে, খুনের কাজে ব্যবহৃত লোহার রড উদ্ধার ও ওই মামলায় বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতারের স্বার্থে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’’

উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার সুমিত কুমারের দাবি, ‘‘জমি দখলকে কেন্দ্র করে অভিযুক্তরা ওই ব্যক্তিকে মারধর করেছিলেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’

পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম কামেশ্বর রায় (৫৩)। তাঁর বাড়িও মহারাজপুর এলাকায়। মহারাজপুরের বটতলা এলাকার আড়াইবিঘা কৃষিজমির দখলকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিন ধরে কামেশ্বর ও তাঁর পরিবারের লোকেদের সঙ্গে দীনবন্ধু ও তাঁর পরিবারের লোকেদের বিরোধ লেগে রয়েছে। দুই পক্ষেরই দাবি, ওই জমিটি তাঁদের। গত ২২ ডিসেম্বর সকালে কামেশ্বরের বড় ছেলে মনোজ, ছোটছেলে রাজেশ ও কামেশ্বরের নিজের শ্যালক হরেন বাড়ি থেকে ২০০ মিটার দূরে ওই জমিতে ভুট্টাচাষ করতে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, তাঁরা জমিতে পৌঁছতেই দীনবন্ধু ও তাঁর আত্মীয়রা তাঁদের উপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সেই সময় জমির অদূরে একটি রাস্তায় অভিযুক্তরা কামেশ্বরকে বেধরক মারধর করেন। দীনবন্ধু লোহার রড দিয়ে কামেশ্বরের মাথায় আঘাত করেন। কামেশ্বর মারা যান।

দীনবন্ধুর অবশ্য দাবি, ওই দিন কামেশ্বর ও তাঁর পরিবারের লোকেরাই লাঠিসোটা ও লোহার রড নিয়ে তাঁদের উপর হামলা চালান। কামেশ্বরকে তাঁরা খুন করেননি।

Lynching Arrest Raiganj
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy