মালদহ জেলা জুড়ে নয়া দু’হাজারি জাল নোট উদ্ধারের বহর বেড়ে চলেছে ক্রমশ। শনি ও রবিবার দু’দিনে ইংরেজবাজার শহর থেকে ৪ লক্ষ ৮২ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধারের রেশ কাটতে না কাটতেই সোমবার রাতে বৈষ্ণবনগরের জৈনপুর চামা এলাকা থেকে এক লক্ষ টাকার জাল নোট উদ্ধার হল। গ্রেফতার করা হয়েছে তিন যুবককে।
ভিন জেলা থেকে পাঠানো বিশেষ পুলিশ বাহিনী ও বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে জাল নোট সহ ওই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম আবদুল রশিদ, কাশিম শেখ ও সাউদ শেখ।
তাঁদের সকলেরই বয়স ১৮। বাড়ি বৈষ্ণবনগর থানার মোহনপুর গ্রামে। ধৃতদের কাছ থেকে একটি মোটরবাইক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার ধৃত তিনজনকে মালদহ সিজেএমের এজলাসে তোলা হলে ১০ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, সোমবার রাতে জালনোটের কারবারিদের খোঁজে কুম্ভীরা এলাকায় হানা দিয়েছিল বিশেষ বাহিনী ও বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ। রাত ১০টা নাগাদ জৈনপুর চামা এলাকায় ওই তিনজনকে একটি মোটরবাইকে করে যেতে দেখে সন্দেহ হওয়ায় তাঁদের আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করার পর ওই বাইকের ডিকি থেকে ৫০টি দু’হাজার টাকার জাল নোট মেলে।
ধৃতদের জেরা করে প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, মোহনপুরে বাড়ি হলেও ওই তিন জন মূলত ভিনরাজ্যে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করে। তাঁরা আগে দিল্লিতে কাজ করত। পুলিশের সন্দেহ, কাজের পাশাপাশি এলাকা থেকে জাল নোট নিয়ে গিয়ে সেখানে সরবরাহের কাজেও তারা লিপ্ত ছিল। কিন্তু নোট বন্দির পর তাঁরা ফিরে এসেছিল।
জাল নোটের কারবার শুরু হওয়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এরাও ফের সক্রিয় হয়। এ বার জাল নোট নিয়ে তাঁরা রাজস্থানে যাওয়ার মতলব করেছিল। সেই মতো সোমবার রাতে জালনোটগুলি সংগ্রহ করে বাড়িতে ফিরছিল তারা। পথেই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছি।’’
গত বুধ ও বৃহস্পতিবার মালদহ সফরে গিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গের আইজি এন রমেশবাবু। তখনই জাল নোটের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। এরপরেই কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার থেকে সশস্ত্র বাহিনী পাঠানো হয় মালদহে। কালিয়াচক থানায় সশস্ত্র বাহিনীর ৬০ জন ও বৈষ্ণবনগর থানায় ৪০ জন জওয়ানকে বহাল করা হয়। শনিবার থেকে লাগাতার তল্লাশি অভিযান শুরুর পর দফায় দফায় জাল নোট উদ্ধার হচ্ছে জেলায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy