Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

ঐক্যের বার্তায় ধাক্কা মালদহে

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১০ জুন জেলার দু’টি মহকুমায় আলাদা দু’টি কর্মিসভা করা হবে। সে দিন বিকেল তিনটেয় চাঁচলে প্রথম সভাটি হবে। সন্ধে সাতটায় ইংরেজবাজার শহরে হবে দ্বিতীয় সভা। সেই সভায় সুব্রত বক্সি, মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী প্রমুখ রাজ্য নেতাদের থাকার কথা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০১৭ ০২:৫৭
Share: Save:

রবিবারই এক মঞ্চে দেখা গিয়েছিল তৃণমূলের মালদহের দুই নেতা-নেত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী ও সাবিত্রী মিত্রকে। সেই মঞ্চ থেকে তাঁরা আগামী পঞ্চায়েত ভোটে সকলকে এক হয়ে চলার বার্তাও দেন। কিন্তু তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সোমবার দুপুরে তৃণমূলের মালদহ জেলার বর্ধিত কর্মিসভায় সেই ঐক্যের বার্তায় যেন ছন্দপতন ঘটল। জানা গিয়েছে, সেই সভায় এক জেলা নেতা দলীয় কর্মীদের সবুজ তৃণমূল ও লাল তৃণমূলে ভাগ করায় জোর বিতর্ক উঠল দলের অন্দরে।

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১০ জুন জেলার দু’টি মহকুমায় আলাদা দু’টি কর্মিসভা করা হবে। সে দিন বিকেল তিনটেয় চাঁচলে প্রথম সভাটি হবে। সন্ধে সাতটায় ইংরেজবাজার শহরে হবে দ্বিতীয় সভা। সেই সভায় সুব্রত বক্সি, মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী প্রমুখ রাজ্য নেতাদের থাকার কথা। সেই সভা ও অন্যান্য নানা দলীয় কর্মসূচিকে সফল করতে এ দিন মালদহের সানাউল্লাহ মঞ্চে দলের জেলা কমিটির বর্ধিত কর্মিসভা ছিল। কিন্তু সেই সভা বারবারই সরগরম হয়ে ওঠে নেতাদের একাংশের বক্তব্যে।

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সভার শুরুতে দলের জেলা সভাপতি একেক করে নয়া জেলা কমিটির নেতা-নেত্রীদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলেন। কিন্তু এক নেত্রীর নাম বলা হয়নি বলে এক জেলা নেতা সরব হয়ে ওঠেন। কেন তাঁর নাম বলা হল না, তার ব্যাখ্যা চান। যদিও জেলা সভাপতি জানিয়ে দেন সেই নেত্রীর নাম জেলা কমিটির সদস্য হিসেবে লিখিতভাবে তাঁর কাছে আসেনি। ফলে সেই নাম তাঁর পক্ষে বলা সম্ভব নয়। জেলা সভাপতির সেই বক্তব্যে সভায় তুমুল হইচই বেধে যায়। এক নেত্রী বক্তব্য রাখতে গিয়ে একটি বিধানসভা আসনে হারের পেছনে দলের কর্মীদের একাংশের দিকেই অভিযোগের আঙুল তোলেন। তবে সবচেয়ে হইচই বাধে যখন এক জেলা নেতা বক্তব্যে সবুজ ও লাল তৃণমূলের প্রসঙ্গ তোলেন।

দলীয় সূত্রেই খবর, সেই নেতা অভিযোগ করেছেন, মালদহে তৃণমূলের দু’টি শ্রেণি। কংগ্রেস থেকে যাঁরা এসেছেন তাঁরা সবুজ তৃণমূল ও সিপিএম থেকে যাঁরা এসেছেন তাঁরা লাল তৃণমূল। দেখা যাচ্ছে দলের কেউ কেউ লাল তৃণমূলকে গুরুত্ব দিয়ে চলেছে। এখন থেকে সবুজ তৃণমূলকে প্রাধান্য দিতে হবে। দলের নেতা-কর্মীদের এ ভাবে সবুজ ও লাল তৃণমূলে ভাগ করা নিয়ে সভায় গুঞ্জন শুরু হয়ে যায়। অনেকেই আড়ালে বলতে শুরু করেন, এভাবে দলীয় নেতা-কর্মীদের যদি লাল-সবুজে বিভাজন করা হয় তবে ঐক্য অসম্ভব। তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন অবশ্য বলেন, ‘‘কর্মিসভায় কে কী বলেছেন সেটা তাঁদের নিজেদের মত। আগামী ১০ তারিখ দু’টি কর্মিসভা রয়েছে। সেই সভাকে সফল করতে হবে এবং এ দিন সেই প্রসঙ্গ নিয়ে মূল আলোচনা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE