বিতর্কিত ভিডিয়োর একটি দৃশ্য
আলিপুরদুয়ারের পর কোচবিহারে ভিডিয়ো-বিতর্ক! অভিযোগ, এক মহিলা আধিকারিককে হলদিবাড়িতে বদলি করে দেওয়ার কথা বলেছেন কোচবিহার ১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি আজিজুল হক। যদিও ভিডিয়োর সত্যতা আনন্দবাজার পত্রিকা যাচাই করেনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে দাবি করেছেন, ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের কোনও আধিকারিকের উদ্দেশে ওই মন্তব্য করা হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে আজিজুল বলছেন, আপনি এভাবে রেগে যাবেন না। সহানুভূতিতে দেখুন। আমার কথা শুনতেই চাইছেন না। মহিলা কণ্ঠে পাল্টা জবাব শোনা যায়, (ভিডিয়োতে নেই) বলুন বলুন, আমি শুনছি। তারপরেই আজিজুল পাল্টা বলেন, আমার সঙ্গে টেটামো করবেননা, আপনি চলে যাবেন হলদিবাড়ি। মহিলা কণ্ঠে তখন আবার শোনা গিয়েছে, আবার বলেন এই জিনিসটা।
ঠিক কী কারণে ওই আধিকারিককে ‘হলদিবাড়ি’ পাঠানোর কথা বলা হয় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, মহিলা আধিকারিককে বদলির হুমকি দেওয়ার বিষয়টিই স্পষ্ট। বিষয়টি দেখা হচ্ছে। আজিজুল ঘনিষ্ঠ এক নেতার দাবি, পাট্টা দেওয়া নিয়ে বৈঠক ছিল। সেখানে কমিটির সদস্য হিসেবেই আজিজুল যান। ওই দফতরের ঘুঘুর বাসার অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। পাল্টা প্রমাণ দাবি করা হলে শুক্রবারের বৈঠকে উত্তেজনা ছড়ায়। বিরোধীদের একাংশের অভিযোগ, পছন্দের লোককে পাট্টা তালিকায় না রাখাতেই ওই আধিকারিককে চাপ কি না তা দেখা দরকার।
আরও পড়ুন: কড়েয়ায় প্রকাশ্য রাস্তায় যুবককে গুলি করে খুন
আজিজুল তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “আমাকেই ওই আধিকারিক প্রথমে অভদ্র বলেছেন। সেই প্রেক্ষিতেই বলেছিলাম হলদিবাড়ি যান। আমাকে দেখতে হবে না। তবে ওই বিষয়টি তো মিটে গিয়েছে।” ভিডিয়ো প্রসঙ্গে তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘‘আমি কলকাতা। বিষয়টি শুনিনি। কিছু দেখিওনি। ফিরে খোঁজ নিয়ে দেখব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy