Advertisement
E-Paper

যুবককে ওয়ার্ড অফিসে ‘মার’: তৃণমূল পুরপ্রধানের স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তে নেমে সিসি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ

মালদহের ইংরেজবাজার পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর কাকলি চৌধুরী এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, এলাকার সিসি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২৫ ১৮:৫৭
TMC leader was accused of taking a BJP worker\\\'s son to the ward office and beating him up

তৃণমূল কাউন্সিলর কাকলি চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত।

এক বিজেপি কর্মীর ছেলেকে ওয়ার্ড অফিসে নিয়ে গিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠল মালদহের ইংরেজবাজার পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর কাকলি চৌধুরী এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, এলাকার সিসি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

কাকলি ইংরেজবাজার পুরসভার পুরপ্রধান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর স্ত্রী। কাকলি এবং কৃষ্ণেন্দু দু’জনেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কাকলি বলেন, ‘‘আমি কারও গায়ে হাত তুলিনি। এটা রাজনৈতিক চক্রান্ত।’’ কৃষ্ণেন্দুও বলেন, ‘‘ওখানে একটা নেশার আসর বসেছিল। তবে মারধঝর করা হয়েছে কি না, এ ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই। পুলিশ তদন্ত করছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।’’

এই ঘটনায় কৃষ্ণেন্দুর ‘গুন্ডা’ বলে আক্রমণ করেছেন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। এ-ও বলেন, ‘‘কৃষ্ণেন্দুবাবু নিজেই স্ত্রী কাকলি চৌধুরীর ভয়ে বাড়ি ঢুকতে পারেন না।’’

ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবার রাতের। ইংরেজবাজারের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মিশন ঘাটে এক দল যুবক আড্ডা দিচ্ছিলেন। ৮টা নাগাদ মিশন ঘাটে ছিলেন শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির বুথ সভাপতি চন্দ্রাণী গোস্বামী এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদ তথা বিজেপি নেতা কাজল গোস্বামীর ছেলে সংবিদ গোস্বামীও। অভিযোগ, সেই সময় সংবিদের উপর চড়াও হন কয়েক জন। তাঁকে গালিগালাজ করে মারধর শুরু করেন। পরে কাকলি সংবিদকে নিজের ওয়ার্ড অফিসে নিয়ে গিয়ে অনুগামীদের দিয়ে মারধর করান বলে অভিযোগ।

ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। সংবিদকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা করানো হয়। সংবিদ কলকাতার এক কলেজে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র। কাজল বলেন, “আমার স্ত্রী পুরপ্রধানের ওয়ার্ডে বিজেপির বুথ সভাপতি হওয়ার পর থেকেই আমাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। রাতে পরিকল্পনা করে ছেলেকে পুরপ্রধানের স্ত্রী পুর-প্রতিনিধি কাকলি চৌধুরী দলবল নিয়ে মারধর করেন। পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও আমরা আতঙ্কে রয়েছি।”

যদিও কাকলির বক্তব্য, “মিশন ঘাটে নেশার আসরে কিছু যুবকের মারামারির কথা শুনে ছুটে গিয়েছিলাম। তখন ওই যুবককে উদ্ধার করে ওয়ার্ড অফিসে নিয়ে যাই। মারধর করা হয়নি। রাজনৈতিক কারণে আমার নামে দায় চাপানো হচ্ছে।”

tmc councillor English Bazar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy