জেলায় দলের প্রত্যেক বিধায়কের দেহরক্ষী রয়েছে। তারপরও নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের ঘটনা নিয়ে দুশ্চিন্তা আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূলের অন্দরে। অসম সীমান্ত লাগোয়া এই জেলায় দলের বিধায়ক-নেতাদের আরও বেশি করে সতর্ক থাকতে বলার পাশাপাশি নিরাপত্তা নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জেলা তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। তাঁরা জানিয়েছেন, সেই আলোচনায় কোনও সমস্যার কথা উঠে এলে সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দলের রাজ্য নেতৃত্ব ও প্রশাসনের কর্তাদের কাছে আর্জি জানান হবে।
একসময় অসম সীমানা লাগোয়া কুমারগ্রামে কেএলও-দের ব্যাপক প্রভাব ছিল৷। গোলমাল পাকাতে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগসাজশ করে এই অসম সীমানার ওপাশ থেকে প্রচুর অস্ত্র আনার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন তৃণমূলের নেতারা। ়
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর মন্ত্রীপদ হারাতে হয়েছিল কুমারগ্রামের বিধায়ক জেমস কুজুরকে। ফলে এই মুহুর্তে উত্তরের এই জেলায় কোন মন্ত্রী নেই। কিন্তু তৃণমূল সূত্রের খবর, দলের অন্দরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা রয়েছেন। মন্ত্রী না হলেও, তাঁরা সরকারি নানা গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। তাদের নিরাপত্তা নিয়েই চিন্তা সবচেয়ে বেশি।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোহন শর্মা বলেন, “একে তো বিজেপিকে বিশ্বাস নেই। তার উপর আমরা অসম সীমানা লাগোয়া জেলায় আমরা বাস করি। এই অবস্থায় নদিয়ার ঘটনার পর আমাদের একটু চিন্তাভাবনা করতে হবে।” মোহনবাবু জানান, নদিয়ার ঘটনার জেরে দলের সব বিধায়ক-নেতাদেরই সতর্ক থাকাতে বলা হবে। পাশাপাশি নিরপাত্তা নিয়ে কারও কোন সমস্যা থাকলে তাঁর সঙ্গে কথা বলা হবে। এবং প্রয়োজনে দলের রাজ্য নেতৃত্ব ও প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে আর্জি জানান হবে।
বিজেপি নেতারা অবশ্য পাল্টা তাদের নিরাপত্তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। দলের মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিজ্ঞা বলেন, “আমাদের দলের শক্তি দ্রুত বাড়ছে। ফলে আমাদের দলের নেতাদের নিয়েই তো ভয়।’’ জেলা পুলিশ নিরাপত্তা বাড়াচ্ছে না বলেও টিগ্গার অভিযোগ। পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, মনোজবাবুরা এমন কোনও আর্জি করেছেন বলে জানা নেই। তবে প্রয়োজনে ব্যবস্থা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy