Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

বাগদেবী বন্দনায় বিজেপি, খোঁচা তৃণমূলের 

দলের জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা নিজে ফলমূল কাটলেন। তাঁকে সহায়তা করলেন দলের মহিলা কর্মীদের কয়েকজন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২০ ০৬:০৫
Share: Save:

রামনবমীর পর এবার সরস্বতী পুজোয় মন দিল বিজেপি।

বুধবার দলের কোচবিহার জেলা পার্টি অফিসে আয়োজন করা হল বাগদেবীর আরাধনার। দলের জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা নিজে ফলমূল কাটলেন। তাঁকে সহায়তা করলেন দলের মহিলা কর্মীদের কয়েকজন। দলীয় অফিসের ভিতরেই রান্না হল খিচুড়ি-তরকারি।

মালতী বললেন, “তৃণমূলের সরকার তো রাজ্যে সরস্বতী পুজো বন্ধ করছে। একাধিক স্কুলে এখন পুজো হচ্ছে না। তাই আমরা শুরু করলাম।” তৃণমূলের অবশ্য পাল্টা দাবি, বিজেপি পুজো নিয়ে রাজনীতি করছে। আগে রামনবমী থেকে শুরু করে একাধিক ধর্মীয় অনুষ্ঠান নিয়ে ওরা এটা করেছে। এবার সরস্বতী পুজো নিয়ে নেমেছে। তৃণমূলের কোচবিহার জেলার কার্যকরী সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় এ দিন বলেন, “বিজেপি অফিসে আগে তো কখনও সরস্বতী পুজো হয়নি। কেন হয়নি, এবার কেন হচ্ছে মানুষ এখন সে প্রশ্ন তুলছে। এখান থেকেই পরিষ্কার, পুজো আর ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি।”

সরস্বতী পুজো নিয়ে কোচবিহার শহরে এমনিতেই উন্মাদনা থাকে প্রতিবছর। এবারেও তার কমতি ছিল না। সারাদিন স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে বাড়িতে বাড়িতে পুজোর আয়োজন হয়। কিন্তু কখনও কোনও রাজনৈতিক দলের পার্টি অফিসে সরস্বতী পুজো দেখা যায়নি। এবারেই প্রথম জেলা বিজেপি ওই পুজোর আয়োজন করেছে। আগাম বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ওই পুজোর কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সকালেই পার্টি অফিসে পৌঁছে যান বিজেপি জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা, মহিলা নেত্রী দীপা চক্রবর্তী, বিজেপি নেতা বিরাজ বসুরা। হাতে হাতে পুজো প্রস্তুতির কাজও শুরু করেন তাঁরা। পার্টি অফিসের ছাদে পুজোর আয়োজন করা হয়। আর নীচতলায় পার্টি অফিসের ভিতরেই খিচুড়ি ও তরকারি রান্না করা হয়। সব মিলিয়ে প্রায় ৭০ কেজির খিচুড়ি প্রসাদ রান্না করা হয়। এ দিন দুপুরের পর থেকে কর্মী-সমর্থক থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে তা বিলি করা হয়। দলের নেতা-কর্মীরাই প্রসাদ বিলি করেন।

কিন্তু কেন এবারে বাগদেবীর আরাধনা? দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপি নেতা-কর্মীদের আর্জি ও আবদারেই ওই পুজোর আয়োজন করা হয়। পুজো ঘিরে অনুষ্ঠানে বহু মানুষকে একসঙ্গে পাওয়া গেলে তা দলের পক্ষে লাভ বলেই মনে করা হচ্ছে। আর দলে যেহেতু সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের ভোটই প্রধান লক্ষ্য, তাই যে কোনও পুজোই সেই লক্ষ্যে অন্তত এক ধাপও এগিয়ে নিয়ে যাবে বলেও দলের একটা বড় অংশের বিশ্বাস।

বিজেপির পক্ষ থেকে অবশ্য তৃণমূলের গুরুত্বকে আমল দেওয়া হয়নি। তাদের পাল্টা দাবি, তৃণমূল সংখ্যালঘুদের ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করে। সেজন্য তাঁদের খুশি করার জন্য একাধিক জায়গায় নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিজেপির কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, “দলের অফিসে বিদ্যার কাজ হয়। তাই বিদ্যার দেবীর আরাধনায় আমরা নেমেছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE