ফাইল চিত্র।
বিশ্বমানের এনজেপি স্টেশন তৈরির কাজ কয়েকটি ধাপে হওয়ার কথা। প্রথম ধাপে এনজেপির পার্কিং এলাকা নতুন করে তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু তার বাইরেও স্টেশন চত্বরের বাইরের দিকে থাকা দোকানপাটে পড়তে পারে উচ্ছেদের নোটিশ। সেই রকমই ইঙ্গিত রেল সূত্রে। তাই আগাম বৈঠক করে প্রতিবাদপত্র দেওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে তণমূল কংগ্রেস।
এনজেপি স্টেশনটিকে প্রায় সাড়ে তিনশো কোটি টাকা খরচ করে আন্তর্জাতিক মানের পরিচয় দেওয়ার কথা। সেই কাজ শুরুও হয়েছে। কিন্তু ইতিমধ্যেই ঝামেলার সূত্রপাত শুরু হয় স্টেশনের বাইরে পার্কিং এলাকা নিয়ে। সেখানে প্রায় ২০০ হকার রয়েছেন। তাঁদের নিয়ে রেলের তরফে মৌখিক আশ্বাসমিলেছে। কিন্তু কর্তাদের তরফে এখনও লিখিত কিছু দেওয়া হয়নি।
স্টেশন ঢেলে সাজার দ্বিতীয় ধাপ হিসেবে এ বার স্টেশনের বাইরের খাবার হোটেল, এবং রেস্তরাঁ, চা ও পানের দোকানগুলিতেও নোটিশ দেওয়ারতোড়জোড় করা হচ্ছে রেলের তরফে। কাটিহার ডিভিশনের বাণিজ্য বিভাগের এক কর্তা বলেন, ‘‘আমাদের তরফে ব্যবসায়ীদের নাম-ঠিকানা জোগাড় করা হয়েছে। নোটিশ দেওয়ার হলে তা দেওয়া হবে।’’ এখনও নোটিশ দেওয়ার দিনক্ষণ ঠিক হয়নি। কিন্তু স্টেশন ঢেলে সাজার যে খসড়া নকশা তৈরি হয়েছে, তাতে প্ল্যাটফর্মের বাইরে থেকে পার্কিং ছাড়িয়ে খাবার হোটেলগুলি পর্যন্তএলাকা রেলের দরকার হবে বলেই সূত্রের দাবি। তাই নোটিশআজ হোক বা কাল হোক দেওয়া হবে। কাটিহার ডিভিশন সূত্রের দাবি, রেল পরিসরে অনুমোদিত হকার না হলে পুনর্বাসন দেওয়ার নীতি রেলের নেই। তাই পুনর্বাসনের ব্যাপারে কোনও আশ্বাস এখনই দিতে পারেননি রেলকর্তারা। সেই কারণেই ব্যবসায়ীদেরনাম-ঠিকানার মতো তথ্য রেল জোগাড় করতে শুরু করেছে।
রেলের অনুমোদিত দোকান না হলে পুনর্বাসন দেওয়ার নীতি না থাকলেও তৃণমূলের তরফে সেই দাবিই তোলা হচ্ছে। আইএনটিটিইউসির এনজেপির কোর কমিটির নেতা সুজয় সরকার বলেন, ‘‘আমরা পুনর্বাসন না দিয়ে উচ্ছেদের পক্ষে নই। শীঘ্রই এ ব্যাপারে রেল আধিকারিকদের স্মারকলিপি দেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy