সাংবাদিক বৈঠকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব। নিজস্ব চিত্র।
সারদা কাণ্ড থেকে এসজেডিএ দুর্নীতি-- নানা ঘটনায় বিরোধীদের অভিযোগের মোকাবিলায় শিলিগুড়িতে ‘মহা-মিছিল’ ও জেলা জুড়ে পথসভা করবে বলে জানাল তৃণমূল।
রবিবার দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের তরফে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। তৃণমূল সূত্রে জানানো হয়েছে, আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্ক থেকে একটি ‘মহা মিছিল’ বেরোবে। রবিবার শিলিগুড়ির সেবক রোডে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে জেলা জুড়ে বিক্ষোভ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি-সহ অন্যান্য নেতারাও এ দিন উপস্থিত ছিলেন। দলীয় অফিসে সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল নেতা কৃষ্ণ পাল বলেন, “বাম আমলে বহু ডানপন্থী নেতা খুনের মামলাগুলি পুনর্বিবেচনার দাবিতে ও চাঁদমণি চা বাগান নিয়ে দুর্নীতি-সহ বিভিন্ন বিষয়ে দল পথে নামবে। বিরোধীদের কুৎসা প্রচারেরও জবাব দেবে দল।”
সম্প্রতি এসজেডিএ এবং সারদার দুর্নীতিতে শাসক দলের জেলা নেতাদের জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে সিপিএম-বিজেপি সহ বিরোধীরা আক্রমণ শুরু করে। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, তার পাল্টা জবাব দিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ‘মহামিছিল’ করে দলের পক্ষে জনসমর্থনও তুলে ধরার চেষ্টা করছে পাশাপাশি, বাম আমলের বিভিন্ন রাজনৈতিক খুনের অভিযোগের মামলা শুরু করার দাবিও তোলা হবে বলে এ দিন জানিয়েছেন তৃণমূল নেতারা। যা শুনে অশোকবাবুর বক্তব্য, “রাজ্যে তৃণমূল সরকার আসার তিন বছরে দুশোর বেশি সিপিএম কর্মী রাজ্য জুড়ে খুন হয়েছে। তার তদন্তও করাতে হবে।”
এ প্রসঙ্গে বিরোধীদের প্রশ্ন, রাজ্যে বর্তমানে তৃণমূলেরই সরকার রয়েছে। পুরোনো মামলা শুরু করতে হলে পুলিশকে প্রশাসন থেকে নির্দেশ দিলেই হয়। তার জন্য শাসকদলের আন্দোলন করার মানে কী?
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর ব্যাখ্যা, “দল ও সরকার আলাদা। দলের নিজস্ব কর্মসূচি রয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “বেশ কয়েকটি খুনের মামলার পুনর্বিচার করাচ্ছি। কয়েকটি মামলার ফাইল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।” সেই সঙ্গে বাম আমলে জমি বণ্টন নিয়েও অনেক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন গৌতমবাবু। তাঁর দাবি, বাম আমলে এসজেডিএ বাড়ি তৈরির জন্য অকাতরে জমি বিলিয়েছে। নতুন সরকারি নীতি অনুযায়ী যা বেআইনি। সে সবও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।
প্রাক্তন পুরমন্ত্রী তথা সিপিএম নেতা অশোক ভটাচার্য পাল্টা বলেন, “নিজেদের উপর থেকে নজর ঘোরাতে এখন এইসব বলছে তৃণমূল। গৌতমবাবু আইনের কিছুই বোঝেন না।” পাশাপাশি, বিজেপির জেলা সভাপতি রথীন বসুর দাবি, “তৃণমূল রাজ্যে ধর্ষণ, ধাপ্পাবাজি আমদানি করেছে। ওদের কথার কোনও গুরুত্ব দিতে চাই না। ওদের কোনও কথাই মানুষ আজ বিশ্বাস করে না।” জেলা কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক বিকাশ সরকার বলেন, “এই দলের পিঠ ঠেকে গিয়েছিল। তৃণমূলের শীর্ষ-স্তর থেকে বিভিন্ন নেতা মন্ত্রী আর্থিক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। এরপরে ওঁরা আন্দোলনে নামলে সেটা মানায় না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy