Advertisement
E-Paper

কোচবিহারে চার কলেজে জিতল টিএমসিপি

তিনটি কলেজ নিজেদের দখলে রাখতে সমর্থ হল টিএমসিপি। একটি কলেজ পুনরুদ্ধার করল। আর একটি কলেজে হেরে গেল।শুক্রবার কোচবিহারের কলেজ নির্বাচনে দিনভর ছিল টানটান উত্তেজনা। সাড়ে তিন দশকের ঐতিহ্য ভেঙে এ বারই প্রথম কোচবিহার ঠাকুর পঞ্চানন মহিলা বিদ্যালয়ে ভোট হয়। ওই কলেজেই জয়ী হয়েছে ডিএসও নেতৃত্বাধীন স্টুডেন্টস ফোরাম।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:৫৯
এবিএন শীল কলেজের সামনে টিএমসিপির উচ্ছ্বাস।নিজস্ব চিত্র

এবিএন শীল কলেজের সামনে টিএমসিপির উচ্ছ্বাস।নিজস্ব চিত্র

তিনটি কলেজ নিজেদের দখলে রাখতে সমর্থ হল টিএমসিপি। একটি কলেজ পুনরুদ্ধার করল। আর একটি কলেজে হেরে গেল।

শুক্রবার কোচবিহারের কলেজ নির্বাচনে দিনভর ছিল টানটান উত্তেজনা। সাড়ে তিন দশকের ঐতিহ্য ভেঙে এ বারই প্রথম কোচবিহার ঠাকুর পঞ্চানন মহিলা বিদ্যালয়ে ভোট হয়। ওই কলেজেই জয়ী হয়েছে ডিএসও নেতৃত্বাধীন স্টুডেন্টস ফোরাম। কোচবিহার, এবিএনশীল ও মাথাভাঙা কলেজে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াই হয়। একটি কলেজে সমান সমান আসন পায় দুই গোষ্ঠী। সন্ধ্যায় স্টেশন মোড়ে এক গোষ্ঠী গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলে কিছু ক্ষণের জন্য পথ অবরোধ করে। মেখলিগঞ্জ কলেজে এবিভিপিকে হারিয়ে জয়ী হয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।

টিএমসিপির দুই গোষ্ঠীর লড়াই মন্ত্রী-বিধায়কের বিরোধ প্রকাশ্যে চলে এসেছে। বিধায়ক মিহির গোস্বামীর অভিযোগ, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ কলেজের গেটের সামনে গিয়ে ঠিক কাজ করেননি। তিনি বলেন, “যাঁরা কোনওদিন কলেজে পড়াশোনা করেনি এমন সঙ্গীদের নিয়ে মন্ত্রী যে ভাবে কলেজ গেটের সামনে গিয়েছে তা অত্যন্ত লজ্জার। আগামী দিনে তা দলের ক্ষতি করবে।” তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথবাবু অবশ্য জানান, তাঁর বিধানসভা এলাকায় একটি বালিকা বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে যেতে একটি কলেজের সামনে দিয়ে যেতে হয়, তাই গিয়েছেন। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়েও কিছু বলতে চাননি। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি সাবির সাহা চৌধুরী বলেন, “আমরা চারটি কলেজে জিতেছি। আর একটি কলেজের ফল নিয়ে সাংগঠনিক স্তরে বিশ্লেষণ করা হবে।” বিরোধীরা অবশ্য দাবি করেছে, সন্ত্রাসের আবহে ভোট না হলে সব কলেজেই হেরে যেত শাসকদলের ছাত্র সংগঠন।

কোচবিহার মহিলা কলেজে ৩০টি আসনের মধ্যে ৮টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয় টিএমসিপি। বাকি ২২টি আসনের মধ্যে এ দিন ১৮টিতে জয়ী হয় ডিএসও নেতৃত্বাধীন স্টুডেন্টস ফোরাম। বাকি ৪ টিতে জয়ী হয় টিএমসিপি। মেখলিগঞ্জ কলেজে ২৪টি আসনের মধ্যে ১৫টিতে জয়ী হয় টিএমসিপি। বাকি ৯টিতে জয়ী হয় বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। গত বছর কলেজটি এবিভিপির দখলে ছিল। বাকি তিনটি কলেজের মধ্যে মাথাভাঙা কলেজে বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন এবং বিধায়ক হিতেন বর্মনের গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াই হয়। ৪৪টি আসনের সব ক’টিতেই বিনয়বাবুর অনুগামীরা জয়ী হয়। কোচবিহার ও এবিএনশীল কলেজে রবীন্দ্রনাথবাবুর অনুগামীদের সঙ্গে মিহিরবাবুর অনুগামীদের লড়াই হয়। কোচবিহার কলেজে ৩৭টি আসনের মধ্যে ২৭টি আসনে রবীন্দ্রনাথবাবুর অনুগামীরা জয়ী হন। এবিএনশীল কলেজে ৪৮টি আসনের মধ্যে দু’পক্ষই ২৪টি করে আসন পায়। মিহির অনুগামীদের দাবি, তাঁরা ওই কলেজে ৩০ টি আসন পেয়েছিলেন। কারচুপি করে পরে তাঁদের ছয়টি আসনে হারিয়ে দেওয়া হয়। তা নিয়ে তারা পথ অবরোধ করে।

College Election TMCP
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy