Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

পুজোয় উপহার, প্রকৃতির মধ্যে টাটকা খাবার

কোথাও জলাশয়কে ঘিরে গড়ে উঠেছে পর্যটন কেন্দ্র। কোথাও আবার পাহাড়ি টিলায়। কোথাও আবার নদী , চা বাগান ঘেরা পর্যটন কেন্দ্রের ভেতরেই সবজি, মুরগির চাষ। তা দিয়েই রান্নার আয়োজন।

বৃহস্পতিবার টিলাবাড়ি ও দোমোহনিতে পর্যটনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে মন্ত্রী গৌতম দেব।—দীপঙ্কর ঘটক।

বৃহস্পতিবার টিলাবাড়ি ও দোমোহনিতে পর্যটনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে মন্ত্রী গৌতম দেব।—দীপঙ্কর ঘটক।

সব্যসাচী ঘোষ
মালবাজার শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৬ ০৩:৩৩
Share: Save:

কোথাও জলাশয়কে ঘিরে গড়ে উঠেছে পর্যটন কেন্দ্র। কোথাও আবার পাহাড়ি টিলায়। কোথাও আবার নদী , চা বাগান ঘেরা পর্যটন কেন্দ্রের ভেতরেই সবজি, মুরগির চাষ। তা দিয়েই রান্নার আয়োজন। পুজোর আগে নানা স্বাদের এরকমই ১৭টি় পর্যটন কেন্দ্র খুলে দিচ্ছে রাজ্য পর্যটন দফতর। তাই প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার দুদিনের ডুয়ার্স সফরে বেরিয়েছেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি বলেন, ‘‘পুজোতে সকলেই নতুন কিছু চান। এবার তাই পর্যটকদের পুজোর উপহার তুলে দিতেই এতগুলো নতুন কেন্দ্র একযোগে খুলে দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে।’’

এদিন সকালেই পর্যটন মন্ত্রী জলপাইগুড়ি থেকে ময়নাগুড়ি চলে যান। ময়নাগুড়ির দোমহনি ঘুরে দেখে উচ্ছ্বসিত হন তিনি। সেখানে দাঁড়িয়ে জানান, দ্রুত দোমহনিতেও পর্যটন কেন্দ্র গড়া হবে। সেখান থেকে গরুমারা লাগোয়া তিলাবাড়ির পর্যটন কেন্দ্রে চলে যান। বাতাবাড়ি, চালসা, সাতখাইয়া হয়ে মালবাজার ট্যুরিষ্ট লজে পৌঁছন। বিকালে তিনি মালবাজারের পশ্চিম ডামডিমের পর্যটন কেন্দ্রও ঘুরে দেখেন। মন্ত্রী।

পরে পর্যটন মন্ত্রী বলেন, ‘‘নতুন কেন্দ্র চালুর বিষয়ে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরই আমাদের লক্ষ্য। সেটাই পাখির চোখ। ফলে এই ১৭টি কেন্দ্রে ডুয়ার্সে ২০০ জনের বেশি পর্যটক রাত্রিবাস করতে পারবেন। নতুন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে তিলাবাড়িতে তৈরি হচ্ছে বন্যপ্রাণ বীক্ষণ কেন্দ্র। তিলাবাড়ি এবং বাতাবাড়ি মিলিয়ে মোট ২০টি কটেজ তৈরি হচ্ছে।’’

খড়িয়ার বন্দর বিটের জঙ্গলের পাশেই রাত্রিবাসের জন্যে তৈরি কটেজও খুলে দেওয়া হবে। মেটেলি পঞ্চায়েত সমিতিকে এই কটেজটি চালাবার দায়িত্ব দেওয়া হবে। একই ভাবে মালবাজার এবং চালসার মাঝে থাকা ৩১নম্বর জাতীয় সড়কে সাতখাইয়া পর্যটকদের চলার পথে বিশ্রামাগারটি মালবাজার পুরসভাকে পরিচালনের দায়িত্ব দেওয়া হবে বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্যটন দফতর। পশ্চিম ডামডিমের কটেজগুলোকেও পঞ্চায়েত সমিতি স্তরের কোন পরিচালন সংস্থাকে দেওয়া যেতে পারে বলে মন্ত্রী জানান। সব ক্ষেত্রেই জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের তরফে ২০শতাংশ রাজস্বের ভাগ পর্যটন কেন্দ্রকে দেবার শর্ত রেখে মউ সাক্ষর করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

এদিনের গৌতম দেবের পরিদর্শনের মধ্যে সব থেকে সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে উঠে এসেছে মালবাজারের পশ্চিম ডামডিম কেন্দ্রটি। মালবাজারের মহকুমা প্রশাসনের নজরদারিতে তৈরি এই ৮টি ঘরের ব্যবস্থা সম্পন্ন কটেজটির একদিকে চা বাগান অন্যদিকে জঙ্গল ও চেল নদী। হাতিদের চেল নদী পেরিয়ে যাতায়াত দেখার আদর্শ জায়গা এই কেন্দ্রটি আগামী ৪ সেপ্টেম্বর থেকে পর্যটকদের জন্যে খুলে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করে দেন মন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়ে নামকরণ করিয়ে নেওয়া হবে বলেও গৌতম বাবু জানিয়ে যান। সবজি বাগান, ফলের গাছ থেকে মুরগির ফার্ম সব ব্যবস্থাই এখানে থাকবে। প্রকৃতির মধ্যে থেকে একেবারে টাটকা খাবার যাতে পর্যটকেরা খেতে পারেন সে ব্যবস্থাই এখানে করা হচ্ছে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

goutam dev tourism
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE