ক্রেতার আশায় মেলায়। নিজস্ব চিত্র
গোলাপজাম, বড় মাপের অমৃতি, জিলিপি, বড় সাইজের বোঁদে, খুরমা ও খাজা। মালদহের রথের মেলার ট্র্যাডিশন ছিল এই পাঁচ রকমের মিষ্টি। একটা সময় ছিল, যখন শুধু এই মিষ্টির টানেই জেলা সদরের মকদমপুরের রথ বা চাঁচলের কলিগ্রামের রথের মেলায় ভিড় জমাতেন বাসিন্দারা। কিন্তু মালদহের সেই ঐতিহ্য মিষ্টি আজ যেন হারিয়ে যেতে বসেছে। তারার খাজা, খুরমা, বড় সাইজের বোঁদে বা বড় মাপের অমৃতি জিলিপি আর রথের মেলায় মেলে না। তবে গোলাপজাম কিন্তু এখনও হারিয়ে যায়নি। রবিবার মকদমপুরের রথের মেলায় মিষ্টির স্টলে মিলেছে গোলাপজাম। বিকিয়েওছে দেদার। এ দিন রথের মেলায় এসেছেন অথচ গোলাপজাম না নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন, এমন সংখ্যা কিন্তু ছিল হাতে গোণা।
মালদহের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও লেখক তুযারকান্তি ঘোষ বলেন, আগে গোলাপজাম সহ ওই পাঁচ ধরনের মিষ্টি মূলত রথের মেলাতেই মিলত। সে সবের স্বাদও ছিল অসাধারণ। তিনি বলেন, ‘‘এখন সেই স্বাদও নেই, কিছু মিষ্টি তো মেলেই না।’’ কারিগরের অভাবে তারার খাজা আজ চোখেই পড়ে না।
এ দিন মকদমপুরের রথের মেলায় গোলাপজাম বিক্রি করছেন শ্যামল ঘোষ, লক্ষ্মণ মণ্ডলরা। তাঁরা বলেন, ‘‘ঐতিহ্য মেনে এই রথের মেলাতেই এই মিষ্টি তৈরি করি। ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। বিক্রি ভালই।’’ তাঁদের আক্ষেপ, এখন আর আগের মতো বিক্রি নেই গোলাপজামের বরং অল্পবয়সীরা ফাস্টফুডের স্টলেই বেশি ব্যস্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy