পাকদণ্ডি বেয়ে কু ঝিক ঝিক! বন্ধে টয় ট্রেনের জয় রাইডের এই ছবি যেন হারিয়ে যেতে বসেছিল। সেই বাধা কাটিয়ে ফের চালু করতে অক্টোবর মাসের শেষ হয়ে যায়। তার পর থেকে বড়দিন। পাহাড়ে পর্যটকদের আগমন বাড়লে জয় রাইডও নতুন মাত্রা পাবে। সেই আশায় বসে দার্জিলিং হিমালয়ান রেল কর্তৃপক্ষও। বড় দিন, আর পাহাড়ে তিস্তা রঙ্গিত পর্যটন উৎসবের সূচনা সেই আশাটাকেই বাড়িয়ে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার রেল গাড়িতে চড়ে খুশিতে মশগুল কলকাতার বিধাননগরের বাসিন্দা দম্পতি পিয়ালী দাস, অভিনব দাস, সোনারপুরের বাসিন্দা বিবেক চাকি এবং তাঁর পরিবারের লোকেরা। এ দিন ‘জয় রাইড’ করেন তাঁরা।
ডিএইচআর সূত্রেই জানা গিয়েছে, গত ডিসেম্বরে জয় রাইডে প্রতিদিন গড়ে ২৩০ জনের বেশি যাত্রী হত। বন্ধ পরিস্থিতির পর ফের তা শুরু হলে প্রথমে লোক খুব কমই হত। তবু তিনটি করে ট্রেন চালিয়ে আসছে কর্তৃপক্ষ। দার্জিলিং থেকে ঘুম। ডিসেম্বরে কিছুটা যাত্রী বাড়ে। গড়ে ১৫০ যাত্রী আসতে শুরু করেছে। ২৫ ডিসেম্বর ২২৩ জন যাত্রী হয় জয় রাইডের টয় ট্রেন সফরে। পরের দিনও ওই রকম। বুধবার কমে দু’শোর কাছাকাছি হয়। ফের বৃহস্পতিবার তা অনেকটা বেড়েছে। এমনকী বুধবার চারটি ট্রেন জয় রাইডে চালালেন কর্তৃপক্ষ। এ দিন তিস্তা রঙ্গিত পর্যটন উৎসব কর্তৃপক্ষও একটি ট্রেন বুক করে জয় রাইডের জন্য। গত বছর অবশ্য বড় দিনের সময় সাড়ে তিনশো, চারশো যাত্রীও চড়েছে।
দেশ বিদেশির পর্যটকদের কাছে টয়ট্রেনের জয় রাইডের অভিজ্ঞতা অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্র। পর্যটনের ভরা মরসুমে গত এপ্রিল মে মাসে প্রতিদিন ৯ টি ট্রিপে টয় ট্রেন জয় রাইড সফরে চলত। সাড়ে চারশো থেকে পাঁচশোর বেশি যাত্রী হতো। ১০৪ দিনের বন্ধ পরিস্থিতি শৈল শহরকে পর্যটকশূন্য করলে জয় রাইডও মুখ থুবড়ে পড়ে। রেলের ট্র্যাকে কোথাও জঙ্গল, কোথাও মাটি ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল দেখভালের অভাবে। সে কারণে গত ২৭ সেপ্টেম্বর বন্ধ উঠে গেলেও তখনই জয় রাইড শুরু করা যায়নি। রেল ট্র্যাক ঠিক করা এবং পরীক্ষা করে সব দেখে শুনে ট্রেন চালাতে অক্টোবর মাসের শেষের দিক গড়িয়ে যায়।
ডিএইচ আরের ডিরেক্টর এম কে নার্জারি বলেন, ‘‘ধীরে ধীরে যাত্রী বাড়বে বলে আমরা আশাবাদী। সেই মতো ট্রেনও বাড়ানো হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy