বিধানসভা নির্বাচনের জন্য এখন থেকেই তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। গত লোকসভা নির্বাচনে যে জেলা থেকে তারা একটিও আসন পায়নি সেই মালদহে এসে মহিলা তৃণমূলের রাজ্য নেত্রী তথা আইন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য দাবি করলেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এই জেলায় সব ক’টি আসনই পাবে তৃণমূল। তাঁর কথায়, জেলার সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ের জন্য সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবেন মহিলা তৃণমূলকর্মীরা।
চন্দ্রিমা দলের মহিলাকর্মীদের এখন থেকেই ঘরে ঘরে পৌঁছনোর বার্তা দিলেন। রবিবার মালদহের সানাউল্লাহ মঞ্চে মহিলা তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে কর্মশালায় সংগঠনের কর্মীদের উদ্দ্যেশে এমনই বার্তা দেন তিনি। তিনি বলেন, এখন বিভিন্ন জেলায় বিরোধী বলে কেউ নেই। সর্বত্রই উড়ছে তৃণমূলের জয়ের পতাকা। মালদহেও পঞ্চায়েত, পুরসভা সমস্ত ক্ষেত্রেই শক্তিবৃদ্ধি পাচ্ছে তৃণমূলের। তাই মালদহে বিধানসভা নির্বাচনে ১২টি আসনের মধ্যে সব ক’টি আসন পাওয়া অসম্ভব কিছু না। এর জন্য মহিলাদেরই এগিয়ে আসতে হবে। মহিলা জন প্রতিনিধিদের মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে যেতে হবে। প্রয়োজনে ব্লক স্তর থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত স্তরে গিয়ে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প নিয়ে কর্মশালা করতে হবে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মালদহে মহিলা নেতৃত্বকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে।
এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ সানাউল্লাহ মঞ্চের বাইরে শহিদ বেদিতে মাল্যদান এবং দলের পতাকা উত্তোলন করেন চন্দ্রিমা। কর্মশালায় ছিলেন রাজ্যের আরও দুই মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী ও সাবিত্রী মিত্রও। ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, কার্যকরী সভাপতি দুলাল সরকার, মহিলা তৃণমূল জেলা নেত্রী চৈতালি সরকার সহ একাধিক নেতা নেত্রী। সাবিত্রীদেবী বলেন, ‘‘তৃণমূল নেতাদের ব্লকের মহিলা নেতাদের সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে।’’ কৃষ্ণেন্দুবাবুও মহিলা নেতৃত্বদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘রাজ্যের উন্নয়ন মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিন আপনারা। তা হলেই জেলার সব ক’টি আসনেই ঘাসফুল ফুটবে।’’ এ দিনের এই কর্মশালায় রাজ্যের সাড়ে চার বছরের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেছেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা। বিশেষ করে কন্যাশ্রী প্রকল্পের সাফল্য তুলে ধরেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘কন্যাশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যে শিশু মৃত্যু, বাল্য বিবাহ কমছে। কন্যাশ্রীর মাধ্যমে মেয়েরা টাকা পাচ্ছেন। ১৮ বছর হওয়ার পরে এককালীন টাকা পাচ্ছেন তাঁরা। যার ফলে বাল্য বিবাহ কমছে। আর বাল্য বিবাহ কমে যাওয়া শিশু মৃত্যুও কমছে।’’ এমন প্রকল্পের কথা সারা জেলার প্রতিটি প্রান্তে ছড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন চন্দ্রিমাদেবী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy