শহরে কুড়ি কেজি বেআইনি সোনা উদ্ধার করল কেন্দ্রীয় রাজস্ব বিভাগ। শুক্রবারের ওই ঘটনায় শহরেরই দুই ব্যবসায়ী রোহিত ও নীরজ আগরওয়ালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতরা সম্পর্কে দুই ভাই। উদ্ধার হওয়া সোনার মূল্য ৬ কোটি টাকারও বেশি। শনিবার শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হলে ধৃতদের দু’দিনের জেল হেফাজত দিয়েছেন বিচারক। শুক্রবার সকালে অভিযুক্তদের ধরা হলেও কেন এত দেরিতে তাঁদের আদালতে তোলা হল এবং কেন রাজস্ব বিভাগ অভিযুক্তদের নিজেদের হেফাজতে নিল না সেই প্রশ্নও উঠেছে।
পুলিশের দাবি, ধৃতরা জেরায় জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও সুইৎজারল্যান্ড থেকে ভুটানে এসেছিল ওই সোনা। শিলিগুড়ি থেকে একটি গাড়ি নিয়ে ভারত-ভুটানের জয়গাঁ সীমান্ত থেকে নীরজ ও রোহিত সেই সোনা এনেছিল। গাড়ির বনেটের তলায় এক কেজির ২০টি বার লুকানো ছিল। জয়গাঁও থেকে বীরপাড়া হয়ে শিলিগুড়ির সেবক রোডে ঢুকতেই গাড়ি সমেত দুই ভাইকে আটক করে রাজস্ব বিভাগ। সেবক রোডের বাসিন্দা ওই দু’জনের সোনার দোকান রয়েছে। শুল্ক আইন অমান্য করে সোনা পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, চিন, মায়ানমার, অস্ট্রেলিয়া থেকে ভাল মানের সোনা এখন ভুটান সীমান্ত দিয়ে এদেশে ঢুকছে।
কোথায় পাচার হচ্ছিল সেই সোনা? গোয়েন্দাদের দাবি, তদন্ত শুরু হয়েছে, এখনই বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়। অথচ, এ দিন আদালতে ধৃতদের নিজেদের হেফাজতেও চায়নি রাজস্ব বিভাগ। অভিযুক্তদের আইনজীবী অখিল সাহার দাবি, ‘‘শুক্রবার সকালে তাঁদের গ্রেফতার করা হলেও কেন সময়ে আদালতে তোলা হয়নি?’’