Advertisement
E-Paper

চাপ কমাতে মা-শিশুর জন্য নয়া দুই হাব

মা ও শিশুদের উন্নত চিকিত্সায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বছরখানেক আগেই চালু হয়েছে মাদার চাইল্ড হাব। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধন করে যার নাম রেখেছেন ‘মাতৃ মা’। কিন্তু ৩২০ শয্যার এই হাবে রোগীর ভিড়ে এখন ‘ঠাঁই নেই’ অবস্থা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০১৮ ০১:৪৮
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

মা ও শিশুদের উন্নত চিকিত্সায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বছরখানেক আগেই চালু হয়েছে মাদার চাইল্ড হাব। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধন করে যার নাম রেখেছেন ‘মাতৃ মা’। কিন্তু ৩২০ শয্যার এই হাবে রোগীর ভিড়ে এখন ‘ঠাঁই নেই’ অবস্থা। এক শয্যায় অন্তত দু’জন করে মহিলাকে নবজাতক
নিয়ে থাকতে হচ্ছে। ফলে হাবে পরিষেবা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তাই মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এই মাতৃ মা-এর উপর থেকে চাপ কমাতে কালিয়াচক ১ ব্লকের দু’টি হাসপাতালে গড়ে উঠছে দু’টি ‘মিনি মাদার চাইল্ড হাব’। একটি হচ্ছে ব্লক হাসপাতাল সিলামপুরে ও অপরটি সুজাপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। দু’টি হাসপাতাল চত্বরেই হাব তৈরির কাজ ইতিমধ্যে শুরুও হয়েছে।

মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে খবর, এই হাসপাতালের ‘মাতৃ মা’-তে ৩২০টি শয্যার মধ্যে প্রসূতিদেরই শয্যা ২২০টি। বাকি শয্যা শিশুবিভাগ, নিওনেটাল বিভাগ ও এসএনসিইউয়ের। কিন্তু প্রসূতিদের ভিড়ে এই ২২০ শয্যাতেও স্থান সঙ্কুলান হচ্ছে না। একটি শয্যায় অন্তত দু’জন করে প্রসূতিকে থাকতে হচ্ছে। সঙ্গে নবজাতকেরা থাকায় সেই শয্যায় স্বাভাবিক ভাবে থাকাটাই মুশকিল। এই পরিস্থিতিতেও মাসে গড়ে ১১৫০ থেকে ১২০০টি করে প্রসব হচ্ছে এখানে। বছরে প্রসব ১৪ হাজারেরও বেশি। এই ‘মাতৃ মা’-এর উপর থেকে রোগীর চাপ কমাতে এ বার কালিয়াচক ১ ব্লকের সিলামপুর ও সুজাপুর হাসপাতালে দু’টি মিনি মাদার চাইল্ড হাব তৈরি করছে স্বাস্থ্য দফতর। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ৮ কোটি ৩০ লক্ষ টাকারও বেশি খরচ করে সিলামপুর হাবের পাঁচতলা ভবনে থাকবে ১১৩ শয্যা-সহ লেবার রুমে ৮টি শয্যা, দু’টি ওটি, একটি এসএনসিইউ। সুজাপুর হাবটি ৫০ শয্যার হচ্ছে ও থাকছে লেবার রুমে ৪টি শয্যা, একটি ওটি, একটি এসএনসিইউ।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সিলামপুর ও সুজাপুর হাসপাতালে প্রসবের হার দিন দিন বাড়ছে। সিলামপুরে ২০১৬ সালে প্রসব হয়েছিল ৫১২৫টি শিশু, ২০১৭ সালে বেড়ে হয় ৫৪২৫টি। একই ভাবে সুজাপুরে ২০১৬ সালে প্রসব ছিল ৩২৮০টি এবং ২০১৭ সালে তা হয় ৩৪১৪টি। ফলে এই দুই হাসপাতালেও প্রসূতির ভিড় রয়েছে। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৈয়দ শাহজাহান সিরাজ বলেন, ‘‘সিলামপুর হাসপাতাল মাত্র ৬০ শয্যার ও সুজাপুর হাসপাতাল ১০ শয্যার। কিন্তু দু’টি হাসপাতালেই প্রসূতিদের ভিড় বেশি। এ দিকে, মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে থাকা হাবেও রোগীর ভিড় বেশি। তাই সব দিক দিয়েই চাপ কমাতে সিলামপুর ও সুজাপুর হাসপাতালে মিনি মাদার চাইল্ড হাব তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে।’’

Mother Child Hub Mini Mother Child Hub Mother Children
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy