Advertisement
E-Paper

ফের ২ ভুয়ো ডাক্তার ধৃত

প্রশাসন সূত্রের খবর, এ দিন মহকুমাশাসক নিজেই ভুয়ো ডাক্তারের খোঁজে তল্লাশিতে নামেন। গোলকগঞ্জে হোমিওপ্যাথ চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে এস এন বর্মনের নামে একটি সাইনবোর্ড ঝুলতে দেখেন। ভিতরে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে ওই চিকিৎসক তিন বছর আগে মারা গিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৭ ০২:১৯
কোচবিহার থেকে আবার ধরা পড়ল ভুয়ো চিকিৎসক। হোমিওপ্যাথির ভুয়ো ডিগ্রি নিয়ে চিকিৎসা করার অভিযোগ।

কোচবিহার থেকে আবার ধরা পড়ল ভুয়ো চিকিৎসক। হোমিওপ্যাথির ভুয়ো ডিগ্রি নিয়ে চিকিৎসা করার অভিযোগ।

মৃত চিকিৎসকের নেমপ্লেট ব্যবহার করে ডিগ্রি ছাড়াই চিকিৎসা করার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তিনি নিজেকে হোমিওপ্যাথ বলে দাবি করেছেন।

সোমবার দুপুরে মাথাভাঙার গোলোকগঞ্জ এলাকা থেকে ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময়ের মধ্যেই মাথাভাঙা হাসপাতালের সামনে থেকে এক চেম্বারে হানা দিয়ে এক ভুয়ো দন্ত চিকিৎসককেও গ্রেফতার করা হয়। একদিনে ভুয়ো চিকিৎসার অভিযোগে দু’জন চিকিৎসক গ্রেফতার হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মাথাভাঙায়। পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃত দন্ত চিকিৎসকের নাম মুন্নাফ হোসেন এবং হোমিওপ্যাথ চিকিৎসকের নাম পরিতোষ বর্মন। আর এক চিকিৎসক নিরঞ্জন বর্মন পালিয়ে গিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। সব মিলিয়ে কোচবিহার জেলায় এখন পর্যন্ত ৫ জন ভুয়ো চিকিৎসক ধরা পড়ল।

মাথাভাঙার মহকুমাশাসক রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, “বিভিন্ন জায়গায় ভুয়ো চিকিৎসক ধরা পড়ার ঘটনায় নজরদারি বাড়িয়েছিলাম আমরা। অনেকের কাজ থেকে নানা খবর পাচ্ছিলাম। সেই সূত্রেই এ দিন হানা দিয়ে রোগী দেখার সময় ২ জনকে ধরা হয়েছে। কেউ কোনও কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।” মাথাভাঙা ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আবু তালেব আজাদ বলেন, “দীর্ঘ দিন ধরেই এমন ভাবে চিকিৎসা করছিলেন ওই দু’জন। অনেক মানুষ এখন অভিযোগ করছেন। আরও এমন কেউ রয়েছে কি না, সেদিকে প্রশাসন নজর রাখছে।” ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন, তিনি চিকিৎসা করেন না। তাঁর দাদা নিরঞ্জনবাবু চিকিৎসা করেন। সেখানে তিনি বসেছিলেন। ওই দন্ত চিকিৎসক অবশ্য কিছু বলতে চাননি।

প্রশাসন সূত্রের খবর, এ দিন মহকুমাশাসক নিজেই ভুয়ো ডাক্তারের খোঁজে তল্লাশিতে নামেন। গোলকগঞ্জে হোমিওপ্যাথ চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে এস এন বর্মনের নামে একটি সাইনবোর্ড ঝুলতে দেখেন। ভিতরে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে ওই চিকিৎসক তিন বছর আগে মারা গিয়েছে। ওই সাইনবোর্ডেই তাঁর পরিবারের দুই সদস্য চিকিৎসা করছেন। মহকুমাশাসকের নির্দেশে পুলিশ গিয়ে পরিতোষবাবুকে গ্রেফতার করে। আর এক সদস্য পালিয়ে যায়। সেখান থেকে বেরিয়ে দন্ত চিকিৎসকের চেম্বারে যান তিনি। সেই সময় একজনের চিকিৎসা করছিলেন ওই ব্যক্তি। তাঁকে সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয়।

মহকুমাশাসক বলেন, “আমাদের নজরদারি চলছে। এ ভাবে চিকিৎসা করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” কিছুদিন আগেই তুফানগঞ্জ থেকে ২ জন ও কোচবিহার শহর থেকে এক জন ভুয়ো চিকিৎসক গ্রেফতার করা হয়।

Cooch Behar fake doctor arrest কোচবিহার
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy