E-Paper

আবর্জনায় বেহাল হাসপাতাল, বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী

হাসপাতালের ভিতরেও একাধিক ওয়ার্ডের পাশেও আবর্জনা জমেছে বলে অভিযোগ। কেন সেগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২৪ ০৯:৩৬
হাসপাতালের মাতৃমা বিভাগের সামনে পড়ে ময়লার স্তুপ, ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ, রবিবার কোচবিহার এমজেএন হাসপাতাল চত্বরে।

হাসপাতালের মাতৃমা বিভাগের সামনে পড়ে ময়লার স্তুপ, ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ, রবিবার কোচবিহার এমজেএন হাসপাতাল চত্বরে। ছবিঃ মুক্তাঙ্কন বর্মণ।

ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এই অবস্থায় চারদিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখার ডাক জন্য জোর প্রচার করছে স্বাস্থ্য দফতর। অথচ কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বর আবর্জনায় থিকথিক করছে। অভিযোগ, হাসপাতালের বর্হিবিভাগের সামনে থেকে শুরু করে মা ও শিশুদের বিভাগ মাতৃমা সামনে পর্যন্ত নিকাশির অবস্থা বেহাল। আবর্জনা পড়ে কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে নিকাশি। নিকাশি উপর বেদখল হয়ে রয়েছে বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। প্ৰতিদিন কয়েক হাজার মানুষ পরিষেবার হাসপাতালে যান। মা ও শিশুদের বিভাগের সামনে রাতেও রোগীর পরিবারের আত্মীয়রা থাকেন। এই অবস্থায় রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা থেকেই যায় বলে মনে করেন চিকিৎসকদের অনেকেই।

শুধু ওই এলাকা নয়, হাসপাতালের ভিতরেও একাধিক ওয়ার্ডের পাশেও আবর্জনা জমেছে বলে অভিযোগ। কেন সেগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে কোচবিহার পুরসভা সে বিষয়ে কেন কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছেন। কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এমএসভিপি রাজীব প্রসাদ বলেন, ‘‘বিষয়টি পুরসভা ও প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। আমরাই চাই নিকাশি থেকে শুরু করে সমস্ত জায়গা পরিচ্ছন্ন থাক।’’ কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘‘বেআইনি ভাবে কিছু জায়গা দখল করে খাবারের দোকান তৈরি করা হয়েছে। তাতে নিকাশি পরিষ্কার করা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিকাশির মধ্যে দিনভর প্লাস্টিক থেকে শুরু করে নানা আবর্জনা ফেলে রাখা হচ্ছে। যা পরিবেশের ক্ষতি করছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, কোচবিহারে ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এখনও পর্যন্ত ৪২ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছে। বর্ষার সময়ে সেই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ওই সময় বিভিন্ন জায়গায় পরিষ্কার জল জমা হবে। তা থেকেই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সেই সঙ্গে ম্যালেরিয়াতেও আক্রান্ত হয়েছে একাধিক। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য দফতর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উপরে জোর দিয়েছে। সেখানে কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেরই এমনই বেহাল দশা।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Cooch Behar Dengue

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy