ক্ষোভ: রাস্তা টায়ার জ্বালিয়ে চলছে অবরোধ। মাটিগাড়ায়। নিজস্ব চিত্র
বন দফতর অভিযান চালিয়ে হেনস্থা করছে এই অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল শিলিগুড়ি লাগোয়া মাটিগাড়া। বুধবারের ঘটনা। এ দিন আসবাব ব্যবসায়ীদের একাংশ বন দফতরের বিরুদ্দে হেনস্থার অভিযোগ করে শিবমন্দিরে এশিয়ান হাইওয়ে-২ প্রায় আধঘণ্টা অবরোধ করেন। বিক্ষোভ চলাকালীন রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। একটি বেসরকারি বাস লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়ার অভিযোগও উঠেছে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে।
এ দিন সকাল ন’টা নাগাদ মেডিক্যাল মোড়ের কাছে কয়েকটি দোকানে কাঠ বাজেয়াপ্ত করার পরেই শুরু হয় গোলমাল। শিবমন্দির এলাকার আসবাব ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ দেখিয়ে পথ অবরোধ শুরু করেন। তার জেরে আটকে পড়ে প্রচুর বাস, এবং অ্যাম্বুল্যান্সও। কিছুক্ষণ পরে মাটিগাড়া থানার অফিসারেরা বিশাল বাহিনী নিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিলে অবরোধ ওঠে। এই ঘটনায় দীর্ঘ সময় ধরে যানজট হয় ওই এলাকায়। কমিশনারেটের ডিসি (পশ্চিম) তরুণ হালদার বলেন, ‘‘অবরোধকারীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু হয়েছে।’’
বন দফতরের উত্তরবঙ্গের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের ভারপ্রাপ্ত বন আধিকারিক সঞ্জয় দত্ত বলেন, ‘‘মুখ্য বনপালের (হিল সার্কেল) নির্দেশে এ দিন শিবমন্দির এলাকায় চোরাই কাঠের আসবাবের দোকানে অভিযান চালানো হয়। ২০ লক্ষ টাকার কাঠ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বৈধ নথি পেশ না করতে পারলে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের হবে।’’ আসববাবের দোকানগুলিতে সিজার লিস্ট সহ ৩০ দিনের নোটিশ পাঠাচ্ছে বন দফতর।
পুলিশ ও বন দফতর সূত্রের খবর, সম্প্রতি শিবমন্দিরের একটি ব্যবসায়ী সংগঠন এবং বাসিন্দাদের একাংশ বেআইনি কাঠ নিয়ে বন দফতরে অভিযোগ করেন। তাঁদের দাবি, ওই আসবাবের দোকানগুলোয় চোরাই কাঠের আসবাব তৈরি হয়। কিন্তু ওই ব্যবসায়ীদের দাবি, অভিযানের নাম করে বন দফতরের অফিসাররা হেনস্থা করছেন। কাঠ বাজেয়াপ্ত করে সিজার লিস্ট দিচ্ছেন না বলেও অভিযোগ ওঠে।
এ দিন ঝামেলার সময় মেডিক্যাল মোড় এলাকার এক মহিলাকে হেনস্থা এবং ধাক্কাধাক্কি করা হয় বলে অভিযোগ।
শিবমন্দির কাঠের আসবাব ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সম্পাদক বিকাশ ঘোষ বলেন, ‘‘আমাদের এখানে চোরাই কাঠ নিয়ে ব্যবসা হয় না। সরকারি কাঠ নিলামে কিনে আনার পরে চেরাই হয়ে গেলে লগের উপর আর সরকারি চিহ্ন থাকে না।’’ এ দিন অবরোধের পর আসবাবের দোকানপাট বন্ধ করে দেন তাঁরা।
বন দফতরের অফিসারেরা জানান, শিবমন্দির, চৈতন্যপুর, সাধনমোড়, মেডিক্যাল মোড়, নারায়ণপল্লি এলাকায় আড়াইশোর মত আসবাবের দোকান রয়েছে। গত ৩১ জানুয়ারি জেলাশাসক, বন দফতর এবং ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি বৈঠকে ওই ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়। তার পরেও ব্যবসা চলছিল বলে অভিযোগ। যদিও ব্যবসায়ীদের পাল্টা দাবি, দার্জিলিং মোড়, নকশালবাড়ি, ফাঁসিদেওয়াতেও ব্যবসা চলে। সেখানে কোনও অভিযান হয় না। তাহলে এখানে বারবার কেন হচ্ছে সেই প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy